শনিবার ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচি ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আইএসএফ সমর্থকরা দিনভর গুন্ডামি করল ধর্মতলায়। ভাঙচুর হল হেয়ারস্ট্রিট থানার পুলিশ কিয়স্ক। শুধু তাই নয়, রাস্তা অবরোধ করে গোলমাল পাকাবার জন্য তারা কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীকে তাদের সভা চলাকালীন হঠাৎ মারধর শুরু করে। সেই পুলিশ কর্মীকে অন্য পুলিশ কর্মীরা বাঁচাতে গেলে তখন তারা ইট- পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশ প্রথমে গোটা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু একে একে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্টাল এবং ডিসি সেন্ট্রাল- টু ও ডিসি সাউথ ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন । এখানেই শেষ নয় ,ওই আইএসএফ এর সমর্থকরা আক্রমণ করেন ইট – পাটকেল জুতো ও লাঠি নিয়ে। কলকাতা পুলিশের হেয়ার স্ট্রীট থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি ও বউবাজার থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি সহ একে একে ১৯ জন পুলিশ গুরুতর আহত হন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলা চত্বরে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখার সময় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, মোট
১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ,পুলিশকে কর্তব্যরত অবস্থায় আক্রমণ ,মারামারি ঘটানো এবং শহরে অশান্তি পাকানোর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও আছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল আরোও জানান ,আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছিল । কিন্তু আইএসএফ তাদের পূর্বঘুষিত রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়ে তাদের সমর্থকরা ব্যস্ততম ধর্মতলার মোড় অবরোধ করে ।পুলিশকে আক্রমণ করে পরিকল্পনা মাফিক গোটা শহরকে অচল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল । তাই পুলিশ বল প্রয়োগ করতে এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। তবে ধর্মতলা চত্বরে উত্তেজিত জনতাকে হটিয়ে দেওয়ার পর যাতে পুনরায় ভাঙ্গর এলাকায় কোন অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কলকাতা পুলিশের চর্মনগরী থানার পক্ষ থেকে ব্যাপক পুলিশ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে আর অশান্তি ছড়ায় নি। দিন শহরে এই গুন্ডামির ঘটনায় পুলিশ সহ মোট ৫০ জন আহত হয়েছেন। এলোপাথাড়ি ছোড়া ইট- পাটকেলের আঘাতে অনেকেরই মাথা ফেটেছে।