নির্বাচনের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশ। মাটিতে ফেলে বাঁশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর কলকাতা পুলিশের বাহিনীর দুই কনস্টেবলকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর এলাকায়। ভিডিওটি সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বাম ও বিজেপি সমর্থকদের দিকে। আহত পুলিশ কর্মীর নাম রাজু দাস। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, নদিয়ার গাংনাপুরের বুথে গত ৮ জুলাই ডিউটি পড়ে কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের। অভিযোগ, বুথের ভিতরে চলছিল ছাপ্পা ভোট। তা রুখতে যেতেই আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ, বুথের বাইরেই তাদের উপর হামলা চালায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকেরা বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল। দুষ্কৃতী দল তাদের ধাওয়া করলে প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা প্রাণপণে দৌড়ে ঢুকে পড়ে সাধারণের বাড়িতে। তাতেও রেহাই মেলেনি। এক কনস্টেবল গৃহস্থের বাড়ির খাটের নীচে লুকোলেও দ্বিতীয় কনস্টেবলকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় বার করে আনে দুষ্কৃতীরা। এরপরই রাস্তায় ফেলে চলে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। বাঁশ লাঠের ঘায়ে ভেঙেছে হাত, থেঁতলে গিয়েছে শরীরে বিভিন্ন অংশ। মারাত্মক আহত অবস্থায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এই পুরো ঘটনা সামনে আসে ভিডিওটি ভাইরাল হতে। ঘটনায় বাম-বিজেপি সমর্থকদের উপর অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত কনস্টেবলের নাম রাজু দাস। বাড়ি, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। আগে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে বদলি করা হয় কলকাতা পুলিসের ষষ্ঠ ব্যাটেলিয়নে। ৮ জুলাই ছিল পঞ্চায়েত ভোট। সেদিন নদিয়া গাংনাপুরে ডিউটি করতে গিয়েছিলেন রাজু। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বুথের বাইরে লাঠি দিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করছেন একদল মানুষ। অভিযোগ, স্রেফ রাজু নন, কলকাতা পুলিশের আরও এক কনস্টেবলকেও টার্গেট করেছিলেন হামলাকারীরা। বিপদ বুঝে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। হাত, মাথা-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে রাজু। কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।