কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডে তদন্তে সিবিআইকে পথ দেখাচ্ছে কলকাতা পুলিশ, হাতে তুলে দিয়েছে ৫৩ ‘প্রমাণ’, এর মধ্যে ৯টি সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগ আছে সঞ্জয়ের!

আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা ৫৩টি সামগ্রী সিবিআই তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ৫৩টি সামগ্রীর মধ্যে ন’টির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগ আছে ধৃত সঞ্জয় রায়ের। যেগুলি প্রমাণ হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যবহার করছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অপরাধের সময় যে জামা, অন্তর্বাস, জুতো পরেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সঞ্জয়ের বাইক এবং হেলমেট। তাছাড়া সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণও। সঞ্জয়ের ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা গিয়েছে যে অপরাধের সময় ঘটনাস্থলেই ছিল। সেইসঙ্গে ফরেন্সিক রিপোর্টেরও জোর দিচ্ছে সিবিআই। যা আগামী কয়েকদিনে ধাপে-ধাপে তদন্তকারীদের হাতে চলে আসবে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে যে ৫৩টি সামগ্রীর দিশা দেখাচ্ছে সিবিআইকে, সেগুলির মধ্যে ৪০টি ঘটনাস্থল থেকে রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির আধিকারিকরা সংগ্রহ করেছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর।  সূত্র অনুযায়ী, ৯ অগস্ট (যেদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল)  রাত ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া চলেছিল। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। তখন চিকিৎসক, প্রত্যক্ষদর্শীরাও হাজির ছিলেন বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তারইমধ্যে রবিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট চলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য দিল্লির কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে বিশেষজ্ঞের দল কলকাতায় উড়ে এসেছে। যদিও পলিগ্রাফি টেস্ট থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তা আদালতে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে না।  বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আদালতে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত না হলেও পলিগ্রাফি টেস্ট থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিবিআই প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে পেশ করার সুযোগ পাবে।