কলকাতা

সারদা মামলায় চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীকে জেরার দাবি কুণালের

কুণাল ঘোষের নিশানায় এবার কলকাতার এক প্রবীণ চিকিৎসক। সারদা মামলায় চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীকে জেরা করবার দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ। তাঁর আবেদন, বামজমানায় প্রভাবশালী এই ডাক্তার ও তার সংস্থার লিভার ফাউন্ডেশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন তদন্ত করে দেখা হোক। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডি হস্তান্তরের আবেদন করে চিঠি কুণালের। এই বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েও এসেছেন।  কুণাল বলেন, আমি সিবিআই দফতরে এসেছিলাম এবং তার সঙ্গে সিবিআইকে একটি তদন্তের জন্য অনুরোধের পিটিশন জমা দিয়েছি। সেই পিটিশনটি হল সারদা মামলায় যেটা rc4/14 যে মামলাটি সেটা বৃহত্তর ও ষড়যন্ত্রের মামলা। আমি সেখানে কয়েকটি বিষয় তদন্ত চেয়ে সিবিআইকে ইনক্লুড করার জন্য এই চিঠিটি জমা করেছি। যেহেতু আমি প্রথম দিন থেকে সিবিআইকে সহযোগিতা করে এসেছি। যখনই কোন তথ্য পাই তদন্তের স্বার্থে সেটা তদন্তকারীদের দিয়ে থাকি। এই পিটিশনে আমার যেটা বক্তব্য ডক্টর অভিজিৎ চৌধুরী লিভার ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে চিনতেন কি চিনতেন না এটা গভীরভাবে তদন্ত হওয়া দরকার। এর সঙ্গে তদন্ত হওয়া দরকার ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী যিনি লিভার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি সুদীপ্ত সেনকে ভেরি ইনফেনসিয়াল সিপিএমের এক রাজ্য কমিটির সদস্যের সঙ্গে মিট করিয়ে দিয়েছিলেন কি দেননি। এই অভিজিৎ চৌধুরী মিট করিয়ে দেওয়ার পর সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিপিএম বা তার দলের মুখপাত্রের বিজ্ঞাপনের চেহারায় বা অন্য কোনরূপে কিছু টাকা দিয়েছিলেন কি দেননি। সুদীপ্ত সেন, সারদা কর্তা, তখনকার রুলিং পার্টির বামফ্রন্টের ঘনিষ্ঠ ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরীকে তার লিভার ফাউন্ডেশনে বা তার কোন অর্গানাইজেশনে চেকে বা ক্যাশে কোনও টাকা দিয়েছেন না দেননি। অভিজিৎ চৌধুরী সুদীপ্ত সেনকে চেনেন কি চেনেন না। অভিজিৎ চৌধুরী সাথে সুদীপ্ত সেনের যোগাযোগ হয়েছিল কি হয়নি। অভিলম্বে নতুন করে সুদীপ্ত সেনকে এবং অভিজিৎ চৌধুরীকে জেরা করা প্রয়োজন।