কলকাতা

‘যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেই সময়ের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া নোটগুলি মিলছে কি না? এর তদন্ত হোক’, দাবি কুণালের

“যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, আর নোটগুলি যে সময়ের, তা কি আদৌ মিলছে? এর তদন্ত হোক।” রবিবার এই প্রশ্ন উত্থাপন করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের কথায়, দোষী যাকে-তাকে বলা যেতে পারে। কিন্তু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যে দোষী বলা হচ্ছে সেই ক্ষেত্রে ইডি নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিক। আদালত যদি সেই তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তার মান্যতা দেয়, তবেই দোষী হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পাবে। নাহলে নয়। একই সঙ্গে কুণালের দাবি, ইডির হাতে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কুণাল আরও বলেন, আদালতে যদি দোষ প্রমাণিত হয় তখন তৃণমূল কংগ্রেস চিন্তাভাবনা করবে। অন্যদিকে, এফআইআর-এ নাম থাকার পরও শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করা হল না সে প্রশ্নও তোলের কুণাল। বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এই দলটিতে যাঁরা যুক্ত তারা যতই কেলেঙ্কারি করুক তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, তিনি আজকে বলেছেন, ওই টাকা তৃণমূলের! আজব কথা! আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ওই টাকার সঙ্গে যদি তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁদের নাম আসছে, তাঁদের দায় ও দায়িত্ব এর জবাব দেওয়ার। তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে কোনও অন্যায় কাজ করতে বলেনি।” দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গ তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, “আইকোরের অনুকূল মাইতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গলায় যখন উত্তরীয় পরাচ্ছিলেন, আর মহম্মদ সেলিম যখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই ছবি কী প্রমাণ করে? কুণালের প্রশ্ন, তার মানে বুদ্ধবাবু ও সেলিম আইকোর দ্বারা লালিতপালিত নাকি সিপিএম আইকোরের টাকায় লালিতপালিত?” তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, আইন আইনের পথেই চলবে। ইডির দেওয়া তথ্য- প্রমাণকে আদালত মান্যতা দিলে তৃণমূল অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি, তদন্ত হোক নির্দিষ্ট সময়ে। সারদা- নারদার মত যেন দীর্ঘ সময় ধরে না হয়। তারপরেই বলেন, তদন্ত বেশি সময় ধরে ফেলে রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটা বাতাবরণ তৈরি করে। আর সেই সময়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি চালায় অপপ্রচার ও কুৎসা। উল্লেখ্য, এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২ দিনের ইডি হেফাজতে, তবে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার অর্পিতাকে আদালতে তোলা হলে ১ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ২ দিনের ইডি হেফাজতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি।