কলকাতা

মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচীর রাতেই ইটের আঘাতে রক্তাক্ত মহিলার কনস্টেবল মুখ, ‘রাতটা কি শম্পার ছিল না’? প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের

আরজিকর কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। মেয়ের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে কর্তব্যরত অবস্থায় আক্রান্ত মহিলা পুলিশকর্মী।  এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৫। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হলেন যিনি, তিনিই মহিলা! ফেসবুকে ওই মহিলা কনস্টেবলের ছবি পোস্ট করে রাজ্য পুলিশের প্রশ্ন, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না’?  আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথে নেমেছিলেন মহিলারা। বুধবার মধ্যরাতে। কর্মসূচির নাম, ‘মেয়েরা রাত দখল করো’। ফেসবুকে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছেন, সেদিন রাতে বাগুইআটি ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটে মহিলার কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। কর্তব্য়রত অবস্থা ছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, জমায়েত থেকে হঠাত্‍-র বিনা প্ররোচনায় ইট ছোড়া হয়, যা লাগে শম্পার মুখে! রাজ্য পুলিশের প্রশ্ন, নিজের কর্মক্ষেত্রে কেন আক্রান্ত হতে হবে পুলিশকে। পোস্টে তারা লিখেছে, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না’? পোস্টে রাজ্য পুলিশ জানা, ‘কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী। যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তায়, যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ অগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে। রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় জমায়েতের মধ্য থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসে বেশ কিছু ইট, যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার মুখে। সঙ্গের ছবিটি শম্পার। ঘটনার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা, শাস্তি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করব, এসব নেহাতই পারিপার্শ্বিক তথ্য এ ক্ষেত্রে। মূল প্রশ্নটা অন্য। রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’