সামনেই বিহারে ভোট, তার আগেই ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই জমির বদলে চাকরির মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে তলব করল ইডি। আগামী কাল, বুধবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলায় লালুপত্নী রাবড়ি দেবী ও পুত্র তেজপ্রতাপকেও আজ, মঙ্গলবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সিবিআই প্রথমে লালু তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমির বদলে চাকরির মামলায় তদন্ত শুরু করে। পরে এই মামলার সঙ্গে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি জুড়ে যাওয়ায় তদন্তে যোগ দেয় ইডিও। গত বছরের আগস্ট মাসে এই মামলায় আদালতে একটি চার্জশিট পেশ করে ইডি। তাতে বলা হয়, লালু ঘনিষ্ঠ অমিত কতোয়াল নামের এক যুবক একটি সংস্থা খোলে। সেই সংস্থার নামেই বিহারের পাটনায় বহু জমি রয়েছে। সেই জমি কোথা থেকে এল? তদন্তকারী সংস্থার দাবি লালু রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নিয়োগের ব্যাপারে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। ২০০৪-০৯ সাল পর্যন্ত রেলে গ্রুপ ডি পদে বিভিন্ন বিভাগে যতো চাকরি হয়েছে সবটাই নিয়ম ভেঙে। অভিযোগ, লালু তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন। জমি নিয়ে চাকরি দিয়েছেন বহু লোককে। আর সেই জমি লালু ঘনিষ্ঠ অমিত কতোয়ালের সংস্থার নামে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন হয়। অভিযোগ, কিছু বছর পর ২০১৪ সালে অমিত তাঁর সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার দিয়ে দেয় লালুর পরিবারকে। যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে লালুপত্নী রাবড়ি দেবীর নামে। বাকি ১৫ শতাংশ রয়েছে তেজস্বী যাদবের নামে। তদন্তকারী সংস্থার আরও অভিযোগ, রেলে চাকরি পাওয়ার জন্য বহু চাকরিপ্রার্থী বাজারের তুলনায় কম দামে জমি বিক্রি করে দেন লালুর পরিবারের সদস্যদের। আর সেই সমস্ত জমি ঘুরপথে রেজিস্ট্রেশন হতো লালু ঘনিষ্ঠ অমিতের সংস্থায়। এমনটাই দাবি তদন্তকারী সংস্থার। যদিও গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে আরজেডি নেতৃত্ব।
