টানা বৃষ্টিতে ভাসল রায়গঞ্জের পঞ্চায়েতের ২০টি গ্ৰাম। ফলে জল বন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির জন্যই নাগর, মহানন্দা, কুলিক নদীর জল বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকায় জল ঢোকায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও খবর না থাকলেও প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও রাজু লামা বলেন, “পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” গত ৭২ ঘণ্টায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৭ মিলিমিটার। এরমধ্যে ইসলামপুর মহাকুমায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার পরিমাণ ১৪১.৪০ মিলিমিটার। রায়গঞ্জ ব্লকের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েত, জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত, গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রাম জলমগ্ন। বেশকিছু গ্রামে বাড়ির মধ্যেও জল ঢুকে পড়েছে। উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলার গামারি, কুলিক, নাগর, মহানন্দা, ডাউক, সুঁই সহ নদীর জল দ্রুত বাড়ছে। এদিন বিকেল পর্যন্ত বিপদসীমা স্পর্শ না করলেও কড়া নজর রাখছে সেচ দপ্তর।সেচ দপ্তরের আধিকারিক উত্তম হাজরা বলেন,” সমস্ত নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি করা হলেও লাল সর্তকতার মত অবস্থা এখনও আসেনি। তবে আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেবে। বাঁধের যে সমস্ত জায়গা দুর্বল হয়ে পড়েছে সেখানে বালির বস্তা মজুদ করা হয়েছে।” গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল কাদের বলেন, স”লহুজ গ্রাম,কুমারজোল,টেগড়া, কুমরোল, বাস্তিপুর গ্রামের ফসল জলের তলায়। নাগর ও মহানন্দা নদীর জল ঢুকে পড়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ গ্রাম জলের তলায়। একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ধান ,পাট রকমারি ফসলের দফারফা।