নিরাপত্তার জেরে যুবভারতী স্টেডিয়াম চত্বরে বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি করেছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। তা সত্ত্বেও বিকেল হতেই একটু একটু করে ভিড় জমতে শুরু করে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ তো ছিলই, একই সঙ্গে ডুরান্ড ডার্বি বাতিলের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের সমর্থকদের। তাতে যোগ দিয়েছেন মহামেডান সমর্থকরাও। আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ প্রদর্শনের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় গতকালই বাতিল করা হয়েছিল ম্যাচ। এরপর বহু মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে স্টেডিয়াম চত্বরে জমায়েতের উদ্যোগ নেন। মহামেডান ক্লাবের সমর্থকদের একাংশও যোগ দিতে চেয়েছিলেন। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেই জমায়েতও আটকাতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, তারা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছেন, প্রতিবাদ প্রদর্শনের এই জমায়েতে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। সতর্কতা অবলম্বন করতে তাই ১৬৩ ধারা জারি। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে স্টেডিয়াম চত্বর। প্রসঙ্গত, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারার মতোই ন্যায়সংহিতার ১৬৩ ধারা।