গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। একাধারে নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু। ছবিও আঁকতেন। রবিবার রাতে নাতির সঙ্গে খেলছিলেন। তখনই হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত
হয়ে প্রয়াত হন তিনি। সম্প্রতি তাঁর কিডনির অসুখ ধরা পড়েছিল। ডায়ালিসিস চলছিল। উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী লখনউতে জন্ম পণ্ডিত বিরজু মহারাজের। তাঁর আসল নাম পণ্ডিত বৃজমোহন মিশ্র। কত্থক শিল্পীর পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেরও দিকপাল ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। তাঁর বাবা ও গুরু অচ্ছন মহারাজ, দুই কাকা
শম্ভু মহারাজ ও লাচ্চু মহারাজও প্রখ্যাত কত্থক-শিল্পী। একাধারে নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু। ছবিও আঁকতে পারতেন। একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফি করেছেন বিরজু মহারাজ। উল্লেখযোগ্য সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’-র কোরিওগ্রাফি। ২০১২ সালে বিশ্বরূপম ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য তাঁকে জাতীয় চলচ্চিত্র
পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। রবিশঙ্কর তাঁর নাচ দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লয়ের পুতুল’! ভোজপুরী লোকসঙ্গীত শিল্পী মালিনী অবস্থী ট্যুইটে লেখেন, ”আজ ভারতীয় সঙ্গীতের লয় থেমে গেল। সুর মৌন হয়ে গেল। ভাব শূন্য হয়ে গেল। বিরজু মহারাজ আর নেই। লখনউয়ের ডেউড়ি আজ শূন্য হয়ে গেল। মহারাজজি, সারা বিশ্বে কালিকাবিন্দাদিনজির গৌরবময় ঐতিহ্যের সুবাস ছড়িয়েছিলেন, অসীমে বিলীন হয়ে গেলেন। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। ওম শান্তি।”তাঁর প্রয়াণে শোকাহত সংস্কৃতি জগত।