একদিকে যখন ঘন কুয়াশা, কড়া ঠান্ডা। অন্য দিকে তখন ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা! উত্তর ভারতে যখন বরফপাত, দক্ষিণে তখন ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপের জেরে একাধিক শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি) একটি ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তাও দিয়েছে। বলা হচ্ছে, আবহাওয়ার এই সার্বিক পরিবর্তনের কারণে সারা দেশে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে! একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ আজ, ২৫ নভেম্বর সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চলে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। যার কারণে IMD ১১টি রাজ্যে বৃষ্টির বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। সামুদ্রিক এলাকায় ঝড়ের আশঙ্কা। পূর্ব নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নানা বৈপরীত্য ঘটবে। আন্দামান সাগর থেকে মান্নার উপসাগর পর্যন্ত উচ্চ গতিতে বইবে বাতাস। আজ ২৫ এবং আগামীকাল ২৬ নভেম্বর কেরালা, মাহে, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা। গভীর রাতে ও সকালে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ। বাংলা জুড়ে আগামী কয়েকদিনই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বলা হচ্ছে, গোটা নভেম্বর জুড়েই মনোরম আবহাওয়া থাকবে। যদিও ডিসেম্বরের আগে জাঁকিয়ে শীত নয় এ রাজ্যে।আবহাওয়া দফতর আগেই ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অসম, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং পুদুচেরিতে বিশেষ প্রভাব পড়বে।