মহারাষ্ট্রে ২০০-এর বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির জোট, অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে ক্রমেই ক্ষমতা দখলের দিকে এগোচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। দেশে লোকসভা নির্বাচন মিটেছে ছ’মাসও কাটেনি। ফের আরও এক নির্বাচনী ফলাফলের মুখে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত পাওয়ার)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)- শরদ পাওয়ার এনসিপি -এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। এই রাজ্যে মোট আসনের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১৪৫। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রে নিহত হন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। তাঁর পুত্র জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে এই বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অজিত পাওয়ারের এনসিপি টিকিটে। আপাতত তিনিও পিছিয়ে রয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে একই নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন জিশান। অন্যদিকে, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১টি আসন। এখানে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে ক্ষমতাসীন জেএমএম- কংগ্রেস- আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর ‘মহাজুটি’-এর। ফল গণনা শুরু হতেই প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও সময় যত বাড়ছে ততই ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বিরোধী জোটকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন জেএএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশনের)-এর ‘মহাজোট’। ৫০-টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার ৪১টি আসন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জেএমএম দল মোট ৩৩টি আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে, এগিয়ে রয়েছে ১টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে মোট ১৫টি আসন, এগিয়ে রয়েছে ১টি আসনে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। সিপিআইমএল (লিবারেশন)-এর ঝুলিতে এসেছে মোট ২টি আসন। অন্যদিকে, বিরোধী দল বিজেপি জয়লাভ করেছে মোট ১৯টি আসনে এবং এগিয়ে রয়েছে ২টি আসনে। এজেএসইউ পার্টি জয়লাভ করেছে ১টি আসনে। রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি পেয়েছে একটি আসন। ঝাড়খণ্ড লোকতান্ত্রিক ক্রান্তিকারি মোর্চার হাতে এসেছে একটি আসন। এছাড়াও জনতা দল এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত ঝাড়খণ্ডে ফিরতে চলেছেন হেমন্ত সোরেনই।