জেলা

৬২৮ বছরে পা দিল মাহেশের রথ

শ্রীরামপুরের মাহেশের রথ শুধু হুগলি জেলার নয়, গোটা বাংলার কাছে পরিচিত হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথে। এদিন সকালে গর্ভগৃহ থেকে জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ বের করে আনা হয় মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে। রথের দিন রীতি মেনে জগন্নাথ মন্দিরের দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রা। তার আগে দুদিন ধরে চলে নবযৌবন উৎসব। প্রথা অনুযায়ী স্নান যাত্রার পর থেকে মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাজবেশে সাজানো হয় জগন্নাথ দেবকে, পড়ানো রুপোর হাত। রথের দিন ভোরে ভোগ গ্রহনের পর ভক্তদের সামনে আসেন জগন্নাথ। তার পর সারাদিন ধরেই চলে পুজো পাঠ। পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তদের দীর্ঘ লাইন পড়ে মন্দির চত্ত্বরে। এদিন মন্দিরে পুজোয় যোগ দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জি, রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগী, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মহকুমা শাসক শম্ভুদীপ সরকার প্রমুখ। রথ যাত্রা নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছিল যাবতীয় ব্যবস্থা। প্রস্তুত ছিল মেডিকেল ক্যাম্প, অ্যাম্বুলেন্স, দমকল বিভাগ। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ পথে এবং রাস্তার পাশে রয়েছে ব্যারিকেড। মাহেশের রথ আগে ছিল কাঠের। পরে কলকাতা শ্যামবাজারের বসু পরিবারের তত্ত্বাবধানে মার্টিন বার্ন কোম্পানীর তৈরি করে দেওয়া লোহার রথের বয়স বর্তমানে ১৩৯ বছর। লোহার ১২ চাকা বিশিষ্ঠ ৫০ ফুট উচ্চতার এই রথের ওজন ১২৫ টনের বেশি। হাজার হাজার ভক্তের টানে এদিন সেই রথ রাজপথ ধরে রওনা হয়ে মাসীর বাড়ি পৌঁছয়।