জেলা

‘আগামী ১০ বছর কোনও ঝগড়া করবেন না’, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

 আজ দুপুরে দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে পাহাড়কে আগামী ১০ বছর শান্ত রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির ওপর মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ যে ক্রমশ বাড়ছে সেটা যেমন সোমবারের সর্বদলীয় বৈঠকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তেমনি পাহাড়ের আমজনতার মধ্যেও যে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে সেটা গতকাল এবং এদিনের বেশ কিছু ঘটনায় বোঝা গিয়েছে। দুইদিনই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে পাহাড়ে আমজনতার ভিড় দেখা যাচ্ছে। এদিন দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখান থেকে বেশ কিছু মহিলা, পুরুষ ও পড়ুয়াদের হাতে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা, জয় জোহর, তপশিলী বন্ধু ও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দেন। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই তিনি পাহাড়াবাসীর পাশাপাশি পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও বার্তা রাখেন আগামী ১০ বছর তাঁরা যেন পাহাড়কে শান্ত রাখেন। সেই সঙ্গে তাঁরা যেন পাহাড়ের উন্নয়নে নজর দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ে সবাই এককাট্টা হোন। শপথ নিন, ১০ বছর কোনও ঝগড়া করবেন না। খুব শীঘ্রই জিটিএ নির্বাচন করতে চলেছে রাজ্য। ভোটের আগে দিল্লির নেতাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি করার সুযোগ দেবেন না। ওরা পাহাড়ের ঐক্য ভেঙে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। আমরা ক্ষমতায় এসে পাহাড়ে হাসি ফুটিয়েছি। রাজ্যের অন্য প্রান্তের মানুষের মত পাহাড়ের মানুষও আজ হাসতে পারছেন। শান্তিতে শ্বাস নিতে পারছেন। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী দিন জিটিএ নির্বাচনের মাধ্যমে পাহাড়কে আরও ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে হবে।’ এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ শানলেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘কিছু দল আছে যাঁরা শুধু ভোটের আগে পাহাড়ে আসে। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। আর নির্বাচন চলে গেলে তাঁদের টিকিও দেখা যায় না। ভুলেও আর দিল্লির লাড্ডু খাবেন না। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো পাহাড়েও ত্রিস্তর পঞ্চায়েত চালুর জন্য বলেছিলাম। এখনও আইন পাশ করতে পারেনি। ওঁরা আগুন লাগায়, আর ওঁরাই চিৎকার করে। এখন পাড়ার ক্লাবে-ক্লাবে ঝামেলা হলেও সিবিআই চাই বলে কোর্টে যায়। বড় কোনও ইস্যু হলে ঠিক আছে। ছোট ছোট ব্যাপারে সিবিআই সিবিআই বলে চেঁচায়। পরিযায়ী বিজেপিকে(BJP) ভরসা করবেন না। ওঁরা ভোটের সময় এসে বহু প্রতিশ্রুতি দেয়। বারবার জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। পাঁচ রাজ্যে ভোট মেটার পর থেকে অন্তত ৫ বার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। ভাবুন একবার! এভাবে সাধারণ মানুষের কীভাবে চলবে? পাঁচ দিনে পাঁচ বার দাম বেড়েছে। এবার মানুষ কী খাবে? বিজেপি খাবে? না দিল্লির লাড্ডু খাবে? দিল্লির সরকারকে দেখুন, বছরে ১০ বার পেট্রোলের দাম বাড়ায়। গ্যাস, কেরোসিনের দাম বাড়ায়, চা বাগান বন্ধ করে দেয়। নিজেরই আগুন জ্বালায়, আবার বদনামও করে বাংলাকে(Bengal)। ওরা বাংলাকে ভালোবাসে না। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। শুধু আগুন লাগানোই ওদের কাজ। ভায়েলেন্স ভায়োলেন্স বলে রাজ্যের দুর্নাম করে।’