জেলা

সুযোগ এলে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলায় পরিণত করব: মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কুম্ভমেলার তুলনা টেনে ফের গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ করেছেন মমতা ৷ আর সেই সূত্র ধরেই তাঁর মন্তব্য, সুযোগ পেলে গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন ৷ সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির তদারকি করতে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার আগে ভারত সেবাশ্রম সংঘে যান তিনি ৷ সেখানেই মমতা বলেন, “কুম্ভ যদি জাতীয় মেলা হয়, গঙ্গাসাগর কোনও অংশে কম নয় ৷ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয় কুম্ভ মেলায় ৷ কিন্তু, আমরা কারও দয়া চাই না ৷ গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের হক ৷” আর জাতীয় মেলার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুযোগ এলে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলায় পরিণত করব ৷ এটা না-হওয়া অন্যায় ৷ বাংলাকে বঞ্চনা কেন করবে ? জাতীয় মেলা ঘোষণা একা করব না ৷ সবাই মিলে করব ৷” মমতা ‘সবাই’ বলতে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের কথা বুঝিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ গঙ্গাসাগরে আসতে মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের ৷ সেই নিয়ে এ দিন মমতা বলেন, “বকখালিতে সেতু করে দিয়েছি ৷ গঙ্গাসাগরটা অনেক চেষ্টা করেছি ভেবেছিলাম হয়ে যাবে ৷ কিন্তু, হয়নি ৷ মুড়িগঙ্গা ব্রিজটা হয়ে গেলেই হল ৷ মন দিয়ে ব্রিজটা তৈরি করতে হবে ৷ ভালো একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে ৷ এতে দুই পাড়ের লোকের সুবিধা হবে ৷ লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ৷” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই এই সেতু তৈরির কাজ শেষ হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই মেলা সফল করার জন্য তাঁর সরকার যথেষ্ট সক্রিয় । তাঁর কথায়, “এই মেলাতে আমি 8-10 জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছি । তাঁরা এসে দীর্ঘ সময় এখানে থেকে কাজ করছেন । কলকাতা থেকে 8-10 জন আইএস ও আইপিএস এসেছেন । এখানকার জল ও প্রসাদ অনলাইনে পাওয়া যায় । আমেরিকায় বসেও পেতে পারেন ।”