নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ফের রাজধানীতে গিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন “আবার দিল্লি যেতে হবে”। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে আরও একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আন্দোলন হবে বিধানসভা প্রাঙ্গণে। জেলাজুড়ে হবে মিছিল। এদিনের মেগা বৈঠক থেকে বিধানসভায় বিধায়কদের হাজিরা নিয়েও কড়া নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একনজরে কর্মসূচি-
• ২৮, ২৯, ৩০ নভেম্বর বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত ধর্না দেবেন বিধায়করা
• ২-৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে বাংলার দাবি আদায়ে মিছিল করবে তৃণমূল
• ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
• প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইবেন
• প্রধানমন্ত্রী দেখা না করলে রাজপথে নেমে আন্দোলন
১০০দিনের কাজের বকেয়া থেকে শুরু করে আবাস যোজনরা টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই নিয়ে একাধিকবার ধর্না আন্দোলন করেছে তৃণমূল। দিল্লির থেকে বাংলা- সর্বত্রই চলেছে। নেতাজি ইন্ডোর থেকে ফের কেন্দ্রের বকেয়া আদায়ে সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো । বলেন, “দিল্লিতে আবার ডিসেম্বর মাসে যেতে হবে৷” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি যাবেন তিনি। ”সংসদ চলাকালীন যাব৷ সব সাংসদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইব।” এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৮, ২৯, ৩০ নভেম্বর বিধানসভার অধিবেশের পরে বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত আম্বেদকর মূর্তির সামনে কেন্দ্রের দাবি আদায়ে ধর্না দেবেন তৃণমূল বিধায়করা। আর ২-৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে বাংলার দাবি আদায়ে মিছিল করবে তৃণমূল। নীচুতলার কর্মীদের প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ, ”ভোটের সময় যে বিজেপিরা প্রচার করতে আসবেন, তাঁদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না কেন, কেন ১০০ দিনের টাকা দেওয়া হয় না৷” একই সঙ্গে দলীয় বিধায়কদরে অধিবেশন চলার সময় হাজির থাকার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ২৮ থেকে ৩০ গুরুত্বপূর্ণ বিল আসবে বিধানসভায়। সেখানে ভোটাভুটিতে সকলে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, কেই যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে দলকে জানাতে হবে। দলের অনুমতি ছাড়া কোনও তৃণমূল বিধায়ক বিধানসভার অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না।