আজ মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা সিনেমার কথা যেখান থেকে শুরু সেই শুরুতেও উত্তম, শেষেও উত্তম। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয় ‘মহানায়ক সম্মান’। এদিনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেজে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে ছিল ২০২৫ সালের ‘মহানায়ক সম্মান’ প্রদানের অনুষ্ঠান। এবছর মহানায়ক শ্রেষ্ঠ সম্মান পেলেন বাংলা সিনেমার অন্যতম পরিচালক গৌতম ঘোষ। মহানায়ক

সম্মান পেলেন সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী। তবে শুধুই অভিনেতা বা সঙ্গীতশিল্পী নয়, মহানায়ক সম্মান পেলেন রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু এবং শিল্প নির্দেশক আনন্দ আঢ্য। এদিন পুরস্কার প্রদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন, ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, স্বরূপ বিশ্বাস, সৌমিতৃষা কুণ্ডুর মতো ব্যক্তিত্বরা। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে এই সম্মান

উঠল গৌতম ঘোষের হাতে। সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেলেন গার্গী রায়চৌধুরী, সেরা গায়িকা হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন ইমন চক্রবর্তী। সেরা গায়ক হিসেবে রূপঙ্কর বাগচীর কাছে গেল এই সম্মান। শ্রেষ্ঠ রূপটান শিল্পীর সম্মান পেলেন সোমনাথ কুণ্ডু। সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনের জন্য এই পুরস্কার উঠল আনন্দ আঢ্যের হাতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তম স্মরণেও সেই একই কথা যেন উঠে এল। এদিন আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী

বলেন, “আমার জীবনের আপসোস সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে। সুপ্রিয়াদির সঙ্গেও আমার দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল। উত্তম কুমারের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের সকলের সঙ্গে দেখা হয়েছে আমার। কিন্তু উত্তম কুমারের সঙ্গেই দেখা হল না। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে হাত ধরে ভবানীপুরের বহু সিনেমা হলে মহানায়কের ছবি দেখেছি। আমি হয়তো ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু ওঁর ছবির গানগুলো মনে রয়ে যেত। কী শ্রুতিমধুর।”



