নরেন্দ্র মোদির সরকারের পতন যে কোনও দিন ঘটতে পারে৷ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ফের এই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চারশো পার কল্পনা ছাড়া কিছুই না। সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূর, জোট বেঁধে সরকার গড়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কেন্দ্রের এই এনডিএ-সরকার যে ক্ষণস্থায়ী- সেটা প্রথম থেকেই জানিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে INDIA -র জোট সঙ্গী সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে পাশে বসিয়ে ফের একই বার্তা দিলেন মমতা। বলেন, “দিল্লিতে ভয় দেখিয়ে সরকার তৈরি হয়েছে। এই সরকার বেশিদিন চলবে না, পড়ে যাবে।“ বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, “বিজেপির ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। দিল্লির সরকারের আয়ু বেশিদিন নয়। নির্বাচন কমিশন একতরফা আচরণ করেছে। এজেন্সি দিয়ে ধমকানো-চমকানো হয়েছে। এতকিছুর পরেও আমরা লোকসভা ও বিধানসভায় জিতেছি।“ এদিন মঞ্চ থেকে বাংলায় বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একতিরে বেঁধেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি তৃণমূলের৷ তবে, সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপি, সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে মমতা বলেন, বাংলায় তিনটি দলের সঙ্গে লড়েই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল৷ এ দিন বক্তব্য রাখতে উঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মানুষকে আমি স্যালুট জানাই৷ এত চমকানি, ধমকানি, নির্বাচন কমিশনের একপেশে ভূমিকা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন৷ বাংলায় আমরা তিনটে দলের সঙ্গে লড়েছি৷ বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জিততে হয়েছে৷“এর পরেই অখিলেশ যাদবের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মমতা বলেন, “দিল্লিতে যে সরকার এজেন্সি, ইলেকশন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকার স্থায়ী নয়৷ যে কোনও দিন পড়ে যাবে৷“