দক্ষিণেশ্বরকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দক্ষিণেশ্বর মন্দির রাজ্য তথা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্যটনস্থল ৷ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন মন্দির দর্শন করতে ৷ বিশেষ বিশেষ দিনে আগত ভক্তের সংখ্যা লাখের ঘরেও পৌঁছে যায়। রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি মনে করছেন, ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে দক্ষিণেশ্বরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বা নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ৷ তাই ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে দক্ষিণেশ্বরকে সরিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের হাতে তুলে দেওয়া হল শুক্রবার ৷ দীর্ঘদিন পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বর ছিল পুলিশ ফাঁড়ি ৷ মনোজ ভার্মা ব্যারাকপুরের কমিশনার থাকাকালীন এটি একটি পূর্ণাঙ্গ থানার মর্যাদা পায় ৷ আপাতত দক্ষিণেশ্বর থানার আওতায় রয়েছে দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ এবং বেলঘরিয়ার একটা অংশ ৷ কিন্তু এবার সেই থানাটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “দক্ষিণেশ্বর থানাকে ডিঅরগানাইজ করে আমরা ব্যারাকপুর থেকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে নিয়ে আসব৷ দূরে থাকার জন্য ব্যারাকপুর এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঠিকমতো দেখতে পারে না ৷ এক্ষেত্রে যাতে কোনও অবহেলা না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ দক্ষিণেশ্বরে যান তাঁদের সুরক্ষার কথা ভেবে হাওড়া পুলিশ কমিশনেটের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ৷” এদিকে, মন্দিরের ট্রাস্টের সম্পাদক কুশল চৌধুরী রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে ভাবনা চিন্তা করেই নিয়েছেন ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন দক্ষিণেশ্বরে ৷ তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেদিক থেকে তাঁর এই পদক্ষেপকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি ৷”