জেলা

জঙ্গলমহলের ৩ জেলার জন্য ৩ হাজার কোটির প্রকল্প

রাজ্য বাজেটে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য ৭২২.৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির মধ্যে আছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার মোট ৭৪টি ব্লক। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এই ব্লকগুলিকে প্রতি বছর সরাসরি উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করে। পাশাপাশি ওই ৬টি জেলার গ্রামীণ স্তরের উন্নয়নের জন্যও নানা প্রকল্প রূপায়িত করে পর্ষদ। সেই পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জঙ্গলমহল নামে পরিচিত। সেখানেই জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সভা রয়েছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে। আগামিকাল সভা রয়েছে বাঁকুড়ার মাটিতে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই জঙ্গলমহলের ৫টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই বাজিমাত করেছিল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু সেই জায়গায় অনেকতাই জমি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জঙ্গলমহলের ৩ জেলা সফরে গিয়ে মোট ৩ হাজার কোটি টাকার বিবিধ প্রকল্পের ঘোষণা, উদ্বোধন ও শিলন্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত যা রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর মাস্টারস্ট্রোক হিসাবেই বিবেচিত হচ্ছে এখন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন থেকে শুরু করে অনেক নতুন রাস্তার উদ্বোধন, ব্লক ও মহকুমা স্তরের হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধি, অনেক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন, নতুন স্কুলবাড়ি সহ নানা পরিষেবার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুদ্র সেচেরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন চলতি সফরে সেরে ফেলবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নানা আর্থসামাজিক প্রকল্পের সুযোগসুবিধা তিনি তুলে দেবেন কয়েক হাজার উপভোক্তার হাতে। সেই সঙ্গে দেবেন বার্তা, উন্নয়নের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি আমজনতার কাছে চলতি সফরে তুলে ধরবেন কীভাবে বাংলার মানুষকে পদে পদে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। আর হাজারো খামতির মধ্যে দাঁড়িয়েও কীভাবে তাঁর সরকার মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে চলেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই বাম জমানায় জঙ্গলমহলের মানুষের যে অবস্থা ছিল আজ মমতার নানা আর্থসামাজিক প্রকল্পের হাত ধরে সেই অবস্থার অনেক উন্নতিসাধিত হয়েছে। অভাবের জীবন, না খেয়ে থাকার জীবন, আজ জঙ্গলমহলে অতীত হয়েছে। বন্ধ হয়েছে রক্তপাত। বন্ধ হয়েছে খুনোখুনি। বন্ধ হয়েছে মাওবাদীদের রাজত্বপাট। ভুল পথ ছেড়ে অস্ত্র ফেলে জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীরা আজ উন্নয়নের স্বপক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।