জেলা

প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ি।  বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন হাওড়া শিবপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। মৃত্যুকালে বয়স তাঁর হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বয়স জনিত কারণে নানান অসুখে ভুগছিলেন জটু লাহিড়ি। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত অক্টোবর মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। হাসপাতালে অনেক দিন তাঁকে আইসিইউ-তে রাখতে হয়েছিল। গত বছরই শৌচালয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এর পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। পড়ে যাওয়ার পর মাথায় চোট হয়েছিল প্রাক্তন বিধায়কের। মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলেও জানা যায়। জটু লাহিড়ির স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। এক মেয়েকেও হারিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন বিধায়ক রেখে গেলেন, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিকে।  তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। বর্ষীয়ান রাজনীতিজ্ঞ জটুদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর স্মৃতি চির অমলিন থাকবে। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি জটু লাহিড়ীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য ১৯৩৬ সালের ২৮ এপ্রিল জটু লাহিড়ির জন্ম। রাজনীতির জগতে আসেন কংগ্রেসের হাত ধরে। হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি প্রথম বার ভোটে দাঁড়ান ১৯৯১ সালে। ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন জটু। ১৯৯৬ সালে আবার ওই কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন জটু। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে তৃণমূলের তরফ থেকে টিকিট পাননি। এরপর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় পদ্ম শিবিরে গিয়ে সেখানে দলের রাজ্য কমিটিতেও ঠাঁই পান এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।