বিকেল ৪ টে থেকেই শুরু হয়েছে রেড রোড কার্নিভাল। কলকাতার দুর্গা পুজো ইউনেস্কো সন্মান বা হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর প্রথম রেড রোড কার্ণিভ্যাল আজ। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর দুই থেকে তিন দিনের মাথাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় কলকাতার রেড রোড একেবারে রাজকীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজো কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে সটান দাঁড়িয়ে থেকে সবটা সামলান নিজের হাতে। থাকে প্রচুর পুলিশি তৎপরতা। নানারকম থিমে থিমে সেজে ওঠে এদিনের কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠান। দু-বছর পর করোনা আবহ কাটিয়ে ২০২২ এর দুর্গাপুজো একেবারে পুরোনো ধাঁচেই ফিরে এসেছে। যদিও কলকাতায় দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছিল গত ১ সেপ্টেম্বর থেকেই, কারণ ওইদিনি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কো আখ্যা পেয়েছিল। ঠিক জাঁকজমকপূর্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র সেজে উঠেছিল একাধিক থিমের সজ্জায়। পুজোর শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় জমেছির ব্যপক ভিড়। সাধারণত দশমীর দিনই পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি পুজো এবং কলকাতা সহ শহরতলির বেশিরভাগ ঠাকুরই বিসর্জন হলেও থেকে যায় কলকাতার বিখ্যাত বিখ্যাত পুজো মণ্ডপগুলি। সেই ঠাকুরগুলির নানা পজেশন নিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্যেই এই পুজো কার্ণিভ্যালের আয়োজন করা কলকাতার রাজপথে। এবারে প্রায় ৯৫ টি ঠাকুর রেড রোডে রাজত্ব করবে। এই ক্লাবগুলির কর্তৃপক্ষরা নিজেদের মণ্ডপের বিশেষ আকর্ষণ গোটা বাংলার কাছে তুলে ধরার জন্যে নানারকম নাচ-গানের আয়োজন করেছে। আর এদিনের এটাই বিশেষ আকর্ষণ। এরপরেই বিসর্জনের উদ্দেশ্যে ঠাকুরকে বাবুঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত থাকেন রাজনৈতিক মহল থেকে নানা নাট্য ব্যক্তিত্বরাও। থাকেন বাংলার বড় এবং ছোট দুই বিনোদন মাধ্যমেরই তারকারা। এবার যেমন রয়েছেন, সৌমিতৃষা, ঋতিকা, সায়ন্তিকা, ভাস্বর ইত্যাদি জনপ্রিয় তারকারা। তাঁরা শুধু অনুষ্ঠান দেখছেন তাই নয়, বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষের দ্বারা আয়োজন বিভিন্ন নাচ-গানে অংশও নিচ্ছেন। যেমন, সুঁকিয়া স্ট্রিটের আদিবাসী নাচে অংশই নিয়েছিলেন মিঠাই সায়ন্তিকাসহ সবাই, আদিবাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাচলেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন বাংলার অগ্নি-কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানারকম সহযোগিতা করছেন সবাইকে। সবার সঙ্গে গিয়ে ছবিও তুলছেন। প্রসঙ্গত, গত দু’বছর অতিমারির কারণে রেড রোডে পুজো কার্নিভাল বন্ধ ছিল। তাই এই বছর নয়া উদ্যমে কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।