দেশ

নায়ডু-হিমন্তদের ১০-২০ মিনিট করে সময়! নীতি আয়োগের বৈঠকে বক্তব্যের ৫মিনিটের মধ্যেই মমতার মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

মমতার আগে বক্তব্য রাখেন পাঁচ জন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের প্রত্যেককেই ন্যূনতম দশ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ কুড়ি মিনিট পর্যন্ত বলতে সময় দেওয়া হয়৷ কিন্তু তিনি বলতে উঠতেই পাঁচ মিনিটের মাথায় বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে তাঁর আগে বক্তব্য রাখেন অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, অসম, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীরা৷ এ দিনের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র হাজির ছিলেন মমতাই৷ নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপির জোট শরিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে কুড়ি মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে৷ এর পর অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্তরাও ১০ থেকে ১৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমার আগে পাঁচ জন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন৷ তাঁদের প্রত্যেকেই কুড়ি মিনিট, দশ মিনিট, পনেরো মিনিট করে সময় দেওয়া হয়৷ আমি বলার সময়ই পাঁচ মিনিটে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল৷ ক্ষুব্ধ মমতার অভিযোগ, আমার আরও কিছু বলার ছিল, কিন্তু বলতে দেওয়া হয়নি৷’ কিন্তু যেটুকু সময় পেয়েছিলেন, তার মধ্যে কোন কোন দাবিতে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না৷ তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ৷ গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই৷ বাজেটে এ বছরও শূন্য৷ এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷’