কলকাতা

শুরু হল কৃষকবন্ধু, প্রতিকূল আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

লোকসভা ভোটের কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় এতদিন আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে থাকতে পারছিলেন না ৷ একথা নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার ভোট মিটতেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করলেন তিনি ৷এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে মমতা লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমাদের কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আমরা রাজ্যজুড়ে কৃষক ও বর্গাদারদের প্রতিবছর খরিফ ও রবি মরসুমে চাষের সুবিধার জন্য যে সহায়তা প্রদান করি তারই অঙ্গ হিসেবে এবারের আসন্ন খরিফ মরসুমের জন্য রাজ্যের ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে সহায়তা প্রদান আজ থেকে শুরু করা হল। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বছরের শেষের দিকে রবি মরসুমের জন্যও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে।’তিনি আরও লিখেছেন,‘কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে (ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা) সহায়তা পান। ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে মোট ১৮ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা আমরা আমাদের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এজন্য আমি গর্বিত!’তিনি লিখেছেন, ‘শুধু তাই নয়, ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও কৃষক মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ টাকা সহায়তাও দেওয়া হয়। এই খাতেও বাংলার প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবার মোট ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন৷’তাঁর কথা, ‘আমি সবসময় মনে করি, আমাদের কৃষকরা আমাদের সম্পদ, আমাদের গর্ব। আমাদের সরকার আগামীদিনেও এভাবেই তাঁদের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আজকে কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি আমরা ‘বাংলা শস্য বীমা’র আওতায় সারা রাজ্যের ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষককে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৯৩ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তাও প্রদান শুরু করলাম।’