কলকাতা

‘ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বাংলার ৬২ জন, ১৮২টি দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ওড়িশা দুর্ঘটনার ভয়াবহতার রেশ কাটেনি। উল্টে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বাংলার বহু মানুষের। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বাংলার ৬২ জনের প্রাণ গিয়েছে । রাজ্যের নানা হাসপাতালে ২০৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে ওড়িশা থেকে নিয়ে এসে। ওড়িশায় ভর্তি রয়েছেন বাংলার ৭৩ জন। ৫৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শণাক্ত করা যায়নি। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘নজরদারি চলছে। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বহু পরিবার আজও জানে না তাঁদের পরিজন কোথায়।’ দুর্ঘটনার পর থেকেই সবরকম সহায়তায় বাংলা পাশে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘১৫০ এর মত অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি, নার্স, ডাক্তার, বাস, ডিসাস্টার টিম দিয়ে দুর্ঘটনার রাত্রি থেকেই পাশে থেকেছে রাজ্য। সেন্ট্রাল কথা বলে বেশি, কাজ করে কম। কাজ রাজ্য সরকার করে।’ একে একে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রাজ্যের মানুষদের। গতকাল প্রায় ৭০০-৮০০ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানালেন। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রেলের জন্য কিছু করেইনি, উপরুন্ত রেলকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।’ বন্দে ভারত নিয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেন। নিহতদের পরিবার, আহতদের ক্ষতিপূরণের কথা আগেই ঘোষণা করেছেন তিনি। আজ ফের বলেন, ‘মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। চিকিৎসা এবং তার পরেও ৩ মাস সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।’ অল্প আহতদের ও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘যাঁরা আহত হননি, কিন্তু ফিরে এসেছেন, রয়েছেন ট্রমায়, তাদের জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী তিন মাস প্রতি পরিবারকে ২ হাজার টাকা সহ সংসার চালানোর জন্য রিলিফ মেটেরিয়াল দেওয়া হবে।’ অ্যান্টি কলিশন ডিভাইজ ছিল না কেন? সেই প্রশ্নও আজ ফের তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেল প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রেল বাজেট উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেল ভবনের ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রেলকে বিক্রি করার জন্য রেখ দিয়েছে।’