এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফেসবুকের মাধ্যমে দলের নেতা থেকে কর্মী মায় সমর্থক ও জনপ্রতিনিধিদেরও বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিকন্যা লিখেছেন, ‘এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হয়েছিল, ১৯৯৮ সালের পয়ালা জানুয়ারি। এই যাত্রাপথে আমাদের অগ্রাধিকার, দেশমাতৃকার সম্মান ও বাংলা মায়ের স্বার্থ। দেশের সাধারন মানুষের আবেগ আমাদের কাছে হৃদস্পন্দন সমান এবং বাংলার মানুষের ভালবাসা আমাদের কাছে প্রাণপ্রিয়। আজ আমরা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের প্রতিটি কর্মীর আত্মত্যাগ এবং নিরলস প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানাই। তাঁরাই আমাদের দলের সম্পদ। আমি তাঁদের সকলকে নতমস্তকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের দল নতুন ভোরের আলো দেখেছিল। আমাদের নতুন সদস্যদের আন্তরিক শুভকামনা যারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই মহান পথ চলার সঙ্গী হয়েছেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা। আমরা বরাবরের মতো সাধারণ মানুষের সেবার জন্য সর্বদা উৎসর্গকৃত এবং তাঁদের সার্বিক মঙ্গলের জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দিনভর সামাজিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সকালে তৃণমূল ভবনে দলের পতাকা উত্তোলন হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন নেতৃত্ব। বেশ কিছু জায়গায় থাকছে প্রভাত ফেরীরও আয়োজন। তপসিয়ায় তৃণমূলের মূল কার্যালয়ে নতুন ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কাজের সূত্রপাত হবে এদিন ভিত পুজোর মধ্যে দিয়ে। থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রাজ্যের সর্বত্র গুণীজনদের সম্বর্ধনা, দুঃস্থ মানুষদের শীত বস্ত্র প্রদান, হাসপাতালে ফল-মিষ্টি বিতরণ, পড়ুয়াদের শিক্ষণ সামগ্রিক প্রদান, রক্তদান শিবির সহ একাধিক সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।