কলকাতা

নিউটাউনে এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আলিপুরদুয়ার থেকে ফিরে নিউটাউনে এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেএমডিএ এয়ারপোর্ট অথোরিটি এবং নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই মিউজিয়াম। প্রায় 1 একর জমির উপর তৈরি হয়েছে এটি। এই মিউজিয়ামটি তৈরি করতে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এখানে অতীতের বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহৃত এয়ারক্রাফট রাখা রয়েছে। যা শিক্ষানবিশদের পাশাপাশি আগামী দিনে সাধারণ মানুষের জন্যও আকর্ষণের বস্তু হবে।নবান্ন সূত্রে খবর, বিশাখাপত্তনমের পরে কলকাতায় এই ধরনের মিউজিয়াম চালু হল। এদিনের অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর কর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরুপ বিশ্বাস। রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতি মুন্সীও এদিন উপস্থিত ছিলেন। এই অভিনব মিউজিয়ামের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা। তাঁর কথায়, এই ধরনের মিউজিয়াম

প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করবে আগামী প্রজন্মকে। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা স্পষ্ট করার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাত্‍পর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই উদ্যোগ। যা পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী চান, ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হোক। অন্যান্য দর্শনার্থীদের জন্য অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন তিনি। নৌবাহিনীর যে বিমানটি মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে সেটি ৩০ হাজার ঘণ্টার বেশি দুর্ঘটনামুক্ত উড়ানের পরিষেবা দিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে বিমানটি রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। এরপর সেটি এয়ারক্রাফট নিউজিয়ামে রাখা হয়। এদিন অনুষ্ঠানে লতা মঙ্গেশকরের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান ‘ইয়ে মেরে বাতান কি লোগো’র কিছুটা গেয়ে শোনান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি দিঘাতে আরও একটি মিউজিয়াম করার জন্য এদিন নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন চেয়ে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নৌবাহিনীর যে ব্যবহৃত সাবমেরিন রয়েছে তা রাজ্যকে দেওয়ার আবেদন করেন বাহিনীর কাছে। দিঘায় মিউজিয়াম হলে পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এমন আবেদনের পর নৌবাহিনীর কর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।