লড়কু মনোভাবই বাংলার বুকে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে। এবার সেই একই আত্মবিশ্বাসে ভারত থেকে বিজেপি তথা মোদি শাসনের অবসান ঘটানোর ডাক দিয়ে দিলেন তিনি। মানে বাংলার অগ্নিকন্যা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রাবিড়ভূমের আধুনিক কন্নড় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে বিজেপি ও মোদি বিরোধী মহাজোটের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মমতা বুঝিয়ে দিলেন এই লড়াই নিছক কয়েকটি রাজনৈতিক দলের লড়াই নয়। এই লড়াই ভারত বনাম বিজেপির লড়াই। তাই এই জোটের নাম তাই রাখা হয়েছে Indian National Democratic Inclusive Alliance বা INDIA। একে কে চ্যালেঞ্জ জানাবে? নিজের দেশকে সবাই ভালবাসে। তাই এই জোটের কাছে হেরে ভূত হবে বিজেপি। এদিন মমতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার থেকে তাঁদের স্বাধীন ভাবে কাজ না করতে দেওয়ার প্রসঙ্গে যেমন সরব হয়েছেন তেমনি সরব হয়েছেন মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েও। গোটা দেশে বিজেপি যেভাবে জাতের নামে, ধর্মের নামে, আগুন জ্বালাচ্ছে, তাণ্ডব করছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মমতা। সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, ২৪’র ভোটে বিজেপিকে লড়াই করতে হবে এই INDIA’র সঙ্গে। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই জোটের সঙ্গে আগেকার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট UPA’র কোনও সম্পর্ক নেই। কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জোটের নেতৃত্ব কংগ্রেস দিচ্ছে না। জোটের নেতৃত্ব কার্যত নিজেদের হাতেই রাখছে জোট শরিকেরা। এদিন মমতা নিজেকে বা অন্য কাউকে জোটের মুখ বা নেতা-নেত্রী হিসাবে তুলে না ধরলেও কংগ্রেসের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর সকল জোট শরিকের থেকে মমতার গুরুত্ব তাঁদের কাছে সব থেকে বেশি। একই সঙ্গে মমতা এদিন ভবিষ্যৎবাণী করে দিয়ে বলেন, ‘INDIA-কে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে NDA? বিজেপি তোমরা কি INDIA-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে? আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে ভাসবাসি। আমরা দেশপ্রেমী মানুষ। INDIA জিতবে, বিজেপি হারবে।’


