কলকাতা

মমতার শপথ বয়কট বঙ্গ বিজেপির, আসল না শুভেন্দুও

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠান বয়কট করছে বঙ্গ বিজেপি। অর্থাত্‍ আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় বিধানসভা ভবনের অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থাকবেন না বিজেপির কোনও বিধায়ক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে তৃণমূল ঐতিহাসিক জয়ের মুখ দেখেছে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুরের জনতা ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী করে বিধানসভায় পাঠিয়েছে, সেই মমতার বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান বয়কট করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত এই বার্তাই দিল তাঁরা জনমতকে মেনে নিতে পারছে না। তাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তাঁরা বাংলার মানুষের আবেগ, ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তকে বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা করে না। এদিন দুপুরে বিধায়ক হিসাবে রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন আরও ২জন তৃণমূল বিধায়ক। এরা হলেন জাকির হুসেন ও আমিরুল ইসলাম। এই ৩জনকেই এদিন বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিজেপি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হত তাহলে তাঁরা এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করতো না। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই রাজনৈতিক দলটি না কোনও সংসদীয় রীতিনীতি মেনে চলে না মানুষের রায়কে মেনে নিতে পারে। গণতন্ত্রে তাঁদের কার্যত কোনও আস্থাই নেই। সেই কারনেই যোগীরাজ্যে কৃষকদের গাড়ির চাকার নীচে পিষে মেরে দিতে তাঁদের একবারও হাত কাঁপে না। এই বিজেপিই সদলবলে সর্বশক্তি দিয়ে বাংলা দখলে নেমে পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবাসীর প্রত্যাখানের পরেও তাঁরা এখনও ছলে বলে কৌশলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিছনের দরজা দিয়ে যাতে ক্ষমতা দখল করা যায়। সেই জন্যই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে বিধায়ক হতে না পারেন তার জন্য উপনির্বাচন না করানোর পক্ষে জোর সওয়াল করেছিল। কিন্তু কোনও কিছুতেই ভোট ঠেকাতে না পেরে ভবানীপুরে গোহারান হেরেও তাঁদের শিক্ষা হয়নি। তাই নির্লজ্জ বেহায়াদের মতো এখন তাঁরা মমতার শপথ বয়কট করে ভূ-ভারতে এই বার্তাই দিল তাঁরা না মানবেন সংবিধান, না মানবেন সংসদীয় রীতিনীতি না গণতন্ত্র। গায়ের জোরে বাবরি ধ্বংসের মতো তাঁরা দেশের সব গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো আর রীতিনীতিকে ধ্বংস করতে চায়। এই বিজেপিই গত ৬ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল।