ক্রাইম

বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিতে প্রেমিকার গলার নলি কেটে খুন, ভিডিও পোস্ট করে চ্যালেঞ্জ পুলিশকে অভিযুক্তের

প্রেমিকাকে গলা কেটে খুনের পর তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে নিজের ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল প্রেমিক। সঙ্গে দাবি, বিশ্বাসঘাতকতা করা উচিত হয়নি প্রেমিকার। ‘বিশ্বাসঘাতকতা করলেই ফল ভুগতে হবে’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে এমনই বার্তা। তারপর চাদর সরাতেই হাড়হিম করা দৃশ্য। বিছানায় পড়ে রক্তাক্ত মহিলার দেহ। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা। ২৫ বছরের শিল্পা ঝারিয়াকে খুন করে মৃতদেহের ভিডিও তুলল অভিযুক্ত। সেই ভিডিও সে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করে। পাশাপাশি পুলিশকে চ্যালেঞ্জও করেছে, ‘‌ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন।’‌ ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিস অভিযুক্ত পাটনার ব্যবসায়ী অভিজিত পতিদারকে ধরতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। মৃত তরুণীর নাম শিল্পা ঝারিয়া। ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিজিৎ পতিদার নামে এক যুবকের। গত সপ্তাহে জব্বলপুরের মেখলা রিসর্টের একটি ঘর থেকে শিল্পার গলা কাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমেই অভিজিতের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও পোস্ট করেছে অভিযুক্ত। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অভিজিৎ বলছে, ‘বিশ্বাসঘাতকতা করা উচিত হয়নি।’ এরপরেই বিছানায় রাখা কম্বল সরিয়ে শিল্পার গলা কাটা মৃতদেহ সকলকে দেখায় সে। অন্য আরও একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিওতে নিজেকে পাটনার একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছে অভিজিৎ। সেই ভিডিওতে সে দাবি করেছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পাশাপাশি তার ব্যবসার সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল শিল্পার। জিতেন্দ্রর থেকে শিল্পা ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে জব্বলপুরে পালিয়ে এসেছিল বলেও দাবি করেছে সে। এমনকী, জিতেন্দ্রর নির্দেশেই সে শিল্পাকে খুন করেছে বলেও দাবি করেছে অভিজিৎ। অন্য একটি পোস্টে অভিজিৎ লিখেছে, ‘বাবু, স্বর্গে আবার দেখা হবে।’ ভিডিওতে জিতেন্দ্রর সঙ্গেই তার সহকারী সুমিত প্যাটেলের নামও নিয়েছিল অভিজিৎ। সুমিত এবং জিতেন্দ্রকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে অভিজিৎ পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাটনায় জিতেন্দ্রর বাড়িতে এক মাস ছিল অভিজিৎ। তাকে খুঁজতে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর ওই রিসর্টে একটি ঘর বুক করেছিল অভিযুক্ত। পরেরদিন বিকেলে সেখানে আসেন শিল্পা। দুজনে একসঙ্গে খাবারও অর্ডার করেছিল। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘরের দরজা বন্ধ করে একা সেখান থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত, জানিয়েছে পুলিশ।