জেলা

‘সন্দেশখালি স্টিং ভিডিওতে যাদের নাম এসেছে তাদের কাস্টডিতে নিতে হবে, জানতে হবে এর পেছনে কারা’, দাবি কুণাল ঘোষের

সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, বিষয়টি আর রাজনীতির নয়। এর সঙ্গে বাংলার মানসম্মান জড়িত। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলে এসেছি,জমি কেড়ে নেওয়ার কোথাও কোনও অভিযোগ যদি থাকে তাহলে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নারী নির্যাতন নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে  সেটা সাজানো নাটক। রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব করা হয়েছে। সন্দেশখালির নারী নির্যাতরের বিষয়টি বিজেপি ও বিরোধীরা ব্যবহার করছে। এটা আমরা বহু দিন থেকেই বলে আসছি। এখন যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে এটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। ফাঁস হয়েছে কীভাবে কারা মিথ্যে কথা বলে বিকৃত তথ্য দিয়ে মিথ্যে বলতে প্ররোচিত করেছে। এসব এখন সামনে চলে আসছে। সামনে আনছেন বিজেপিরই স্থানীয় নেতা। খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলার ৫ কোটি মা বোন মহিলাকে অপমান করা হয়েছে। তাই এটা যেন রাজনৈতিক তরজায় সীমাবদ্ধ না থাকে। যা হয়েছে তা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। তাই পুলিস সুয়োমোটো মামলা করুক। কারণ যে ভিডিযোটি সামনে এসেছে সেখানে  যেসব কথা উঠে এসেছে যে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ করতে হবে, লোককে উত্তেজিত করতে হবে, দরকার হলে অস্ত্র দেওয়া হবে। টাকা দেওয়া হবে। ওরা করেছে ভোটের জন্য। কিন্তু আমরা এটা ভোট বলে দেখছি না। এর সঙ্গে বাংলার মানসম্মান জড়িত। টাকার খেলা রয়েছে এর মধ্যে। এই যে গঙ্গাধর কয়াল, তাকে কাস্টডিতে নিতে হবে। বিজেপি এখন প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষ্য বদল করার চেষ্টা করছে।  ওই ভিডিও-তে যাদের নাম উচ্চারিত হয়েছে তাদের কাস্টডিতে নিতে হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখতে হবে কারা এর সঙ্গে জড়িত। বলা হচ্ছে সিবিআই চাই। সিবিআই তো প্রটেকশন দেবে। নারদা কেসে যিনি এফআইআর নেমড তার নাম তো এই কেসে শোনা যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ তদন্ত করলে কেসটা ফাঁস হয়ে যাবে তাই সিবিআইয়ের কাছে আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে।