কলকাতা

দায়িত্ব কমল রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার

দায়িত্ব কমল রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার। তাঁর হাত থেকে পরিবেশ দফতর নিজের হাতে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এখন মোট ৯টি দফতর থাকছে। অন্যদিকে মানস ভুঁইয়ার হাতে থাকছে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, তথ্য ও সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, ত্রাণ ও পুনর্গঠন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা বিষয় দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পরিবেশ দফতর। কিন্তু ঠিক কী কারণে মান ভুঁইয়ার হাত থেকে পরিবেশ দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে তুলে নিলে সেই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে এর আগেও দেখা গিয়েছে দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাজ পছন্দ না হলে সেই দফতর মুখ্যমন্ত্রী হয় অন্য কারো হাতে তুলে দিয়েছেন, নাহয় নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে মানসবাবুর ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন কথাও শোনা যাচ্ছে। আর তা হল রাজ্যসভায়(Rajya Shabha) ফের তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। চলতি বছরের অগস্ট মাসে বাংলা থেকে ৬টি রাজ্যসভার সদস্যের আসন ফাঁকা হচ্ছে। এই আসনগুলিতে এখন আছেন দোলা সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দু শেখর রায়, সুস্মিতা দেব ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদের মধ্যে প্রদীপবাবু কংগ্রেসের সাংসদ। বাকি সকলেই তৃণমূলের। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তা ছেত্রীর(Shanta Chetri) আসনেই মানস ভুঁইয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। পরিবর্তে শান্তাকে প্রার্থী করা হতে পারে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে। এখন রাজ্য বিধানসভায় যা দলীয় অবস্থা তাতে ৫টি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। একটি আসনে জিততে পারে বিজেপির প্রার্থী। তবে রাজ্য সভায় বাংলার আরও একটি আসন এখন ফাঁকা আছে। সেই আসনে কবে ভোট হবে তা এখনও জানা যায়নি। যদি সেই আসনেও একই সঙ্গে ভোট হয় তো তৃণমূল ও বিজেপির বাড়তি ভোটেই সেই আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে। ওই আসনে প্রার্থী ছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালিরিও। তিনি ওই আসন থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি ফাঁকা হয়।