নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর। উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু কাংপোকপি জেলা। রবিবার কুকি জনগোষ্ঠীর ডাকা বন্ধে স্তব্ধ হয়ে পড়ে জনজীবন। বাজার, দোকান-পাট, যানচলাচল প্রায় সবই ছিল বন্ধ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হননি বাসিন্দারা। তবে উত্তেজনা থাকলেও কোনও হিংসা বা সংঘর্ষের খবর মেলেনি। এদিন সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন ছিল বাড়তি বাহিনী। এদিন বিপুল সংখ্যক বাহিনী রাস্তায় নামিয়েছিল প্রশাসন। ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়কে রুটমার্চ করেন জওয়ানরা। সেই সঙ্গে চলে তল্লাশিও। শনিবার সংঘর্ষে এক কুকি যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার বন্ধের ডাক দেয় কুকি-জো কাউন্সিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে রাস্তাঘাট সচল করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। আহত হয় বেশ কয়েকজন। কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ জানিয়েছে, কুকিদের এলাকায় মেইতেইদের অবাধ প্রবেশ ঘটাতেই রাস্তা সচল করছে সরকার। তারই কাংপোকপি প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন বাসিন্দারা। কিন্তু বাহিনী তাঁদের উপর অধ্যাধিক নিপীড়ন চালিয়েছে। মণিপুরে এখন রাষ্ট্রপতি শাসন। আপাতত প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা। গত ২ মার্চ দিল্লিতে ভাল্লা ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। ৮ মার্চ থেকে মণিপুরে জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে সমস্ত রাস্তা সচল করার নির্দেশ দেন তিনি। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন স্থানে বাহিনীর টহল চলছে।
