হক জাফর ইমাম. মালদা: শুরু থেকেই গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য সরকার, একথায় বারবার শোনা যাচ্ছিল সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এ নিয়ে এতদিন কোনো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিল না ঘাসফুল শিবির এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও নয়। তাদের শুধু একটাই বক্তব্য ছিল করুণা মুকাবেলায় রাজনীতি করার সময় নয় মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার। তবে তৃণমূল শিবিরের এই অবস্থান যে দলের পক্ষে ক্ষতিকারক তা বুঝতে দেরী লাগেনি মেন্টর প্রশান্ত কিশোরের।বিজেপির প্রচার এর যোগ্য জবাব দেওয়া এবং করোনা মোকাবেলায় থেকে শুরু করে লকডাউন গণবণ্টন ব্যবস্থার সরকারের ভূমিকা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলারজেলা সভাপতি ও অডিটরদের সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরার নির্দেশ জারি করে তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর ও জেলা কডিনেটর অম্লান ভাদুরি সাংবাদিক বৈঠক করে অরুনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হোন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই দিন মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন পরিসংখ্যান বলছে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ করুণা মুকাবিলায় অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে গোটা ভারতবর্ষের করুণা পজেটিভ ১৩৪৮০, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পজেটিভ মাত্র ৫৩.৩৯ শতাংশ যা গোটা ভারতবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ১৩ তম। ভারতবর্ষে করুণায় মৃত্যুর হার ৩.৯৩ শতাংশ সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর হার ৩.২৫ শতাংশ। ভারতবর্ষে আমাদের রাজ্য পঞ্চম স্থানে।আমাদের রাজ্যের তুলনায় ভয়াবহ অবস্থা এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি রাজস্থান গুজরাট উত্তরপ্রদেশ মহারাষ্ট্র হিমাচল অথচ কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি দল পশ্চিমবঙ্গ কে ভারতবর্ষের উহান প্রদেশ বলে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। নেত্রী মৌসম বেনজির নূর আরও বলেন, লকডাউন ৭৩ দিন অতিক্রান্ত আমাদের জনপ্রতিনিধিরা এবং দলীয় নেতৃত্ব মানুষের পাশে রয়েছেন। প্রচুর রিলিফ ম্যাটেরিয়ালস দুঃস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি আগামীতে আমাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।