কলকাতা

এদিনও সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি, অন্যায় জেদেই কাটল না জট! আজও কালীঘাটে হল না মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক

ভিডিও জটে নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পরেও কালীঘাটে বৈঠক শুরু হল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বাইরে প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষপর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন।  জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করলেন, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জেদ না করে মানুষের স্বার্থে বৈঠকে বসুন। কিন্তু টানা অন্যায় জেদ ধরে রেখে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দরজায় গিয়েও বৈঠক এড়িয়ে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।  ‘হাতজোড়’ করে জুনিয়র ডাক্তারদের বৃষ্টিতে না ভেজার অনুরোধ করেন। এদিন রাতে বৈঠকের শুরুতেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের দাবি, গোটা বিষয়টি স্বচ্ছ হওয়া উচিত। তাদেরকেও আন্দোলনকারীদের জবাব দিতে হবে। তাই ভিডিয়োগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রয়োজন। এদিকে, এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তোমরা বৃষ্টিতে ভিজো না। আমরা ভিডিয়োগ্রাফি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আমরা সবটাই রেকর্ড করব। নিশ্চিন্তে থাকো।  আদালতে মামলা চলছে। আদালত অনুমতি দিলে তোমাদের তা দেব। তোমাদের জন্য আমাদের মুখ্যসচিব সহ অনেকেই অপেক্ষা করছে। তিনি জানান যে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য তো ছাতার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রয়েছে বসার জায়গা। তোমরা ভিজবে না। তোমাদের অসুখ করলে আমার খারাপ লাগবে।’এটা অনুরোধ রইল। তোমাদের জন্য জায়গা আছে তো। মিটিং না করো তোমরা অন্তত এককাপ চা খেয়ে যাও। ভেতরে এসো। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের বলেন, তোমাদের আসার কথা ছিল ১৫ জন। তোমরা এসছো ৪০ জন। বাড়িতে কি সবার জায়গা হতে পারে? তার পরেও তোমাদের জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। প্লিজ তোমরা এসো। যদি মিটিং করতে ইচ্ছে না করে তোমরা চা খেয়ে যাও। আজকে বৈঠকের কথা তোমাদের কাছ থেকে এসেছিল। কোথাও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা ছিল না। এখানে একটা সিকিউরিটির ব্যাপারও রয়েছে। লক্ষী ভাইবোনেরা শোনো। ভিডিয়ো দিতে পারব না। মিনিটস করে দেব। যারা আসতে চাও তারা এসো। বাড়িতে এসে মিটিং যদি করতে না চান তাহলে চিঠি দিলেন কেন? এত অসম্মান কেন ? অনেক অপমান করছেন আপনারা। আগেও তিনদিন আমি ২ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করেছি। তোমরা ছোট, আমি বড়। আমি আন্দোলন করা লোক। আন্দোলনকে সম্মান দিতে আমি জানি। মানুষের স্বার্থে এসে কথা বলো। আমরা বৈঠকের মিনিটস করে দেব, সই করে দেব। তোমাদের পক্ষ থেকেও সই করবে। তোমাদের সব দাবি তো মানতে পারি না! সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে তোমাদের ভিডিয়ো দেব। হাতজোড় করে বলছি। তোমরা এসে। বাইরে বৃষ্টিতে ভিজো না। ওই কথা বলে মুখ্য়মন্ত্রী ভেতরে চলে যান। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে বেরিয়ে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।