ক্রাইম

কৃষ্ণনগরে ৩ বছর ধরে নাবালিকাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বাবা

মৃত্যু হয়েছে মায়ের। এরপর বাবা আরও একটা বিয়েও করে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে ‘উল্টোপাল্টা’ কাজ করতে শুরু করে বাবা। কাউকে বললে ‘মারধর’-এর ভয় দেখায়। রবিবার সহ্যের সীমা ভেঙে যাওয়ায় প্রতিবাদ করল নাবালিকা। কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে বাবার সমস্ত ‘কুকীর্তি’র কথা জানায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রতিবেশীদের সাহায্যেই থানায় গিয়ে বাবার নামে অভিযোগ দায়ের করল সে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতয়ালী থানা এলাকায়া তীব্র উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলকাতার কোনও একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করে। সপ্তাহে দু’দিন বাড়িতে যায়। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু

করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানার পুলিস। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তের মা এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে। নাবালিকার অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম তাঁর উপর নির্যাতন করে বাবা। ভয়ে বাবার এই কুকাজের কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। তবুও স্কুলের বান্ধবী এবং প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছিল। কিন্তু বাবার সন্মানহানির ভয়ে এবং বাবাকে বাঁচাতে কাউকে সে কথা প্রকাশ্য়ে আনতে দেয়নি। এরপরও অত্য়াচারের পরিমাণ কমেনি। সপ্তাহে দু’দিন বাড়িতে এলে মদ খেয়ে বাবা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এতদিন সহ্য করে রবিবার নাবালিকার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে।