খেলা

মাজিয়াকে ২-১ গোলে হারালো মোহনবাগান

মোহনবাগান –  (কামিন্স-২)

মাজিয়া –  (ওয়াডা)

আজ যুবভারতীতে মাজিয়াকে ২-১ গোল হারিয়ে গ্রুপে একনম্বর স্থান দখলে রাখল মোহনবাগান। জোড়া গোল জেসন কামিন্সের। নব্বই মিনিট পর্যন্ত রেজাল্ট ১-১। সাত মিনিট অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয়সূচক গোল কামিন্সের। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল। কিন্তু পেনাল্টিতে অতিরিক্ত কায়দা মারতে গিয়ে গোল ফস্কান। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ওড়িশাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এদিন হাফ ডজন বা তারও বেশি গোলে জিততে পারত সবুজ মেরুন। কিন্তু প্রচুর সুযোগ হাতছাড়া হয়। হেলায় জেতা উচিত ছিল, কিন্তু নিজেদের ভুলে কষ্টার্জিত জয় পেল মোহনবাগান। তবে প্রশংসা করতেই হবে মাজিয়ার গোলকিপার হুসেন শরিফের। অন্তত তিনটে নিশ্চিত গোল রোখেন। অনবদ্য ডিফেন্সও। কামিন্স, সাদিকু, লিস্টনদের একাধিক গোল আটকে যায় মালদ্বীপের দলের জমাটে রক্ষণে। অবশেষে অন্তিমলগ্নে তিন পয়েন্ট আসে। তবে ঘরের মাঠে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতায় একেবারেই খুশি নন জুয়ান ফেরান্দো। শুরু থেকেই ছয় বিদেশিকে নামিয়ে দেন ফেরান্দো। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা উচিত ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে স্কোর ১-১। এএফসি কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেনাল্টি মারা নিয়ে যে ছেলেখেলা করলেন কামিন্স এবং দিমিত্রি, নিঃসন্দেহে বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফেরান্দোর অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছে দুই অস্ট্রেলীয়কে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে সাদিকুকে বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি। কামিন্স নিজে শট না নিয়ে আলতো টাচে দিমিত্রির উদ্দেশে বাড়ান। কিন্তু অস্ট্রেলীয় বলের নাগাল পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করে দেন মাজিয়ার অ্যান্টেজ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটার কোনও দরকারই ছিল না। এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটে কামিন্সের গোলেই এগিয়ে যায় বাগান। বুমোসের পাস থেকে বিশ্বকাপারের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে গোলে ঢোকে। এর আগেও গোলের সুযোগ এসেছিল। কামিন্সের হেড এবং লিস্টনের শট সরাসরি তালুবন্দি করেন মাজিয়া কিপার হুসেন। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দিমিত্রির কর্নার থেকে হ্যামিলের হেড বাইরে যায়।