খেলা

Mohun Bagan : বেঙ্গালুরু এফসিকে ৪-০ গোলে হারালো মোহনবাগান

বৃহস্পতিবার চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। এই ম্যাচে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল সুনীল ছেত্রীদের কার্যত দুরমুশ করে ছাড়ল। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড এই ম্যাচে ৪-০ গোলে জয়লাভ করেছে। বাগানের হয়ে একটি করে গোল করলেন হেক্টর ইউৎসে, মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা এবং আর্মান্দো সাদিকু। সবথেকে বড় কথা, এই জয়ের পাশাপাশি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে এখনও টিকে থাকল। এই ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের দাপট বজায় রেখেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ম্যাচের ১২ এবং ১৪ মিনিটের মাথায় যথাক্রমে আনোয়ার আলি এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের কাছে গোল করার সুযোগ আসলেও অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৬ মিনিটের মধ্যে কর্নার কিক পায় মোহনবাগান। এই সুযোগ অবশ্য তারা আর হাতছাড়া করেনি। পেত্রাতোসের কর্নার কিক থেকে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন হেক্টর ইউৎসে। বক্সের একেবারে মাঝামাঝি জায়গা থেকে বাঁ পায়ের একটি জোরাল শট হাঁকান তিনি। এরপর বলটা কোণাকুণিভাবে বাঁ-দিক ধরে বিপক্ষের জালে আছড়ে পড়ে। এরপর ম্য়াচের প্রথমার্ধে মোহনবাগান আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে আপনাজের জানিয়ে রাখি, মোহনবাগান জয়লাভ করলেও, ম্যাচে প্রথমার্ধে তারা মোট তিনটে হলুদ কার্ড দেখে। ২৮ মিনিটে হেক্টর, ৩৪ মিনিটে অভিষেক এবং ৩৮ মিনিটে যদিও। যদিও সেই প্রভাব বাগানের পারফরম্যান্সের উপর একেবারেই পড়েনি।  এই পরিস্থিতি থেকে শুরু হয় ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে চেনা মোহনবাগান একেবারে অচেনা হয়ে যায়। আরও বেড়ে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের আক্রমণের ঝাঁঝ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। এই গোলটি করলেন মনবীর সিং। জনি কাউকোর বাড়ানো বলে বক্সের বাঁ-দিক থেকে ডান পায়ে তিনি নিখুঁত একটি শট হাঁকালেন। এই ধাক্কা বেঙ্গালুরু সামলাতে না সামলাতেই তিন মিনিটের মধ্যে ফের গোল। এবার গোল করলেন অনিরুদ্ধ থাপা। পেত্রাতোসের বাড়ানো বল থেকে তাঁর বাঁ পায়ের শট বিপক্ষের যাবতীয় রক্ষণ পরাস্ত করে গোলের মধ্যে ঢুকে যায়। অবশেষে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বেঙ্গালুরুর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন আর্মান্দো সাদিকু। বিপক্ষের গোল পোস্টের একেবারে সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। মনবীরের বাড়ানো বল থেকে তিনি ডান পায়ে হালকা টোকা দেন। আর সেইসঙ্গে স্কোর বোর্ড ৪-০ হয়ে যায়। এই জয়ের পর মোহনবাগান সমর্থকরা যে উচ্ছ্বাসে ভাসতে শুরু করেছেন, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই।