জেলা

এবার বিধানসভা চত্বরে বেফাঁস মুকুল, বললেন কৃষ্ণনগরে বিজেপির হয়ে দাঁড়ালেই জিতবেন

কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপনির্বাচনে বিজেপি বিপুলভাবে জয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় ৷ আজ ফের বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে একইরকম অসংলগ্ন কথা বলে বিভ্ৰান্তি ছড়ালেন মুকুল রায় ৷ মুকুল রায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও কাগজে কলমে বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ক । তার জোরেই তিনি রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । এদিন বিধানসভা চত্বরে সেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন মুকুল রায় । বৈঠক থেকে বেরোবার পর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের । সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একের পর এক অসংলগ্ন মন্তব্য করতে থাকেন তিনি । মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয় তিনি রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন কোন দলের পক্ষে। মুকুলের উত্তর, বিজেপি তাঁকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছে। এর পর সাংবাদিকরাই নেতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তাঁকে রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷ একথা শুনে মুকুল বলেন, অধ্যক্ষ তাঁকে নির্বাচিত করেছেন জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে । এর পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি না তৃণমূল, কোন দলের সঙ্গে আছেন ৷ মুকুল বলেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে আছেন । সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে, তৃণমূলে থাকা সত্ত্বেও বার বার তাঁর মুখে বিজেপির নাম আসছে কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে মুকুলের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া উত্তর হল, “আমকে তৃণমূল জিজ্ঞাসা করলে তৃণমূল বলব, বিজেপি জিজ্ঞাসা করলে বিজেপি বলব।” এর পরে অবশ্য তৃণমূল নেতার মতোই বলেন, ‘‘তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যেমন বলছেন, পরের নির্বাচনেই ত্রিপুরাতে পালাবদল হবে ।’’ যদিও ফের তাল কাটে । যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা, যেখান থেকে তিনি নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক ৷ সেখানে যদি উপনির্বাচন হয়, তিনি কি জিতবেন । সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুকুল রায়ের উত্তর, “তৃণমূল না, বিজেপির হয়ে দাঁড়ালে জিতব । তৃণমূল হয়ে দাঁড়ালে কী হবে সেটা মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে।”