জেলা

উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক এলাকা প্লাবিত

টানা বর্ষাতে প্লাবিত হতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক অঞ্চল। জল ঢুকতে শুরু করেছে বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ী কলোনীতে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরসভার কিছু অংশ এবং বংশীহারীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চাষের জমি টাঙ্গন নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। পুনর্ভবা নদীর জল ঢুকে গঙ্গারামপুর পুরসভার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। পাশাপাশি তপন ব্লকের বেশ কিছু অংশে চাষযোগ্য জমি ভেসে গেছে পুনর্ভবা নদীর জলে। আত্রেয়ী নদীর জল এখনও বিপদসীমার নিচে থাকলেও, আত্রেয়ীর জল বেড়ে যাওয়ায় শনিবার বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। বালুরঘাটের আত্রেয়ী কলোনি ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্রেয়ী নদীর জল বাড়ছে, তবে তা এখন বিপদসীমার নিচে রয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর জল। জল বাড়ছে উত্তর দিনাজপুরে কুলিক, নাগর, মহানন্দা, ও টাঙ্গন নদীতে। শনিবার দুপুর থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই বিপদসীমা ছুঁয়ে বয়ে যাচ্ছে কুলিক, টাঙ্গন নাগর, মহানন্দা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাগাতার হয়ে চলা বৃষ্টি ও কুলিক নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত রায়গঞ্জ পুর এলাকার ১২ টি ওয়ার্ড। ইতিমধ্যেই শহরের ৩ টি স্কুল ১ টি বাজার সহ মোট ছ’টি জায়গায় সরকারি ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে পুর প্রশাসন। শহরের ৬, ৭, ৮, ১৬, ২২ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোথাও কুলিকের জল বেড়ে যাওয়ায়, আবার কোথাও স্লুইস গেট লিক করায় প্লাবিত হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির হওয়ায় বৃষ্টির জমা জলে প্লাবিত হয়েছে ২, ৪, ১২, ১৩, ১৪ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু অংশ। চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরসভার ত্রাণ শিবির ছাড়াও শহরের রেল লাইনের ধারে এবং কুলিকের বাঁধে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন। পুরসভা ত্রাণ নিয়ে ওইসব বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে।