ক্রাইম

‘যৌনকর্মী হলেও জোর করে সঙ্গমের অধিকার নেই’, জানাল মুম্বইয়ের আদালত

যৌনকর্মী হলেও তাঁকে জোর করে সঙ্গমের অধিকার নেই কারও। সম্প্রতি একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এই মন্তব্যই করা হয়েছে মুম্বইয়ের একটি আদালতের তরফে। যদিও ওই মামলায় অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ না মেলায় একটি গণধর্ষমের মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি আদালতে তাঁকে যৌন হেনস্থা ও জোর করে গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়ে একটি মামসা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু, অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত বিবৃতি ও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি সে। তাই গণধর্ষণে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিতে বাধ্য হন মুম্বইয়ের একটি আদালতের বিচারক। যদিও এপ্রসঙ্গে মুম্বইয়ের সেশন আদালতের বিচারক শ্রীকান্ত ভোঁসলে জানান, একজন মহিলা যৌনকর্মী হলেও কারও তাঁকে জোর করে যৌনসঙ্গম করার কোনও অধিকার নেই। তবে এই মামলার ক্ষেত্রে জোর করে গণধর্ষণ করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই অভিযুক্তদের কোনও শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই এই মামলায়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মে মাসে একদিন রাত দেড়টা নাগাদ নির্যাতিতা মহিলা একটি আটো করে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু অটো চালক ওই মহিলার বাড়ির রাস্তা ঠিক মতো চিনতে না পারায় তাঁকে মাঝ পথে নামিয়ে দেন। পরে অন্য একটি অটোতে উঠতে যাওয়ার সময় চালকের সঙ্গে কথা বলার আগে অটোতে থাকা দুই ব্যক্তি মহিলাটিকে জোর করে অটোতে তুলে তার মুখ চেপে ধরে। তারপর তাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করার সঙ্গে সঙ্গে বিকৃত কামনার শিকারও বানায়। সেই সময় ওই মহিলার চিৎকার শুনে কিছু মানুষ ঘটনাস্থলে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যা। পরে দুটি মেয়ে এসে নির্যাতিতা ওই মহিলাকে কাপড় দিয়ে লজ্জা নিবারণ করতে সাহায্য করেন। পরে পুলিশ এসে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করে ওইদিনই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। আদালতে এই ঘটনার স্বপক্ষে ১০ সাক্ষীকেও হাজির করিয়েছিলেন অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী। কিন্তু, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ ঠিকঠাক জমা না করতে পারায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করতে বাধ্য হন বিচারক।