ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি নেতা তথা তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকির হত্যায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগ থাকার কথা নিশ্চিত করল মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রায় শনিবার রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি নেতা এবং তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। ধৃত গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০) গত আড়াই মাস ধরে বাবা সিদ্দিকির বাড়ি, অফিসের রেকি করেছে। আরও এক সন্দেহভাজন পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম অপরাধ দমন শাখা। ঘটনার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করব যাতে প্রত্যেক দোষী গ্রেপ্তার হয়।’ আগামী নভেম্বর মাসেই মহারাষ্ট্রে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। ওয়াই ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও বাবা সিদ্দিকির হত্যা অজস্র প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরাই মাস ছ’য়েক আগে অভিনেতা সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালিয়েছিল। তাঁর বান্দ্রার বাসভবনের সামনে চার রাউন্ড গুলি চলেছিল গত ১৪ এপ্রিল। ছ’টি আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবার রাতে বান্দ্রা পূর্বে নিজের ছেলে তথা বিধায়ক জিশান সিদ্দিকির অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময়ই বাবা সিদ্দিকির বুকে গুলি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি চালায় আততায়ীরা। তার মধ্যে দু’টি গুলি লাগে বাবা সিদ্দিকির বুকে। একটি লাগে পেটে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের তিনবারের বিধায়ক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-NCP জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে তিনি স্তম্ভিত বলে জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি এক্স হ্যান্ডলে করা একটি পোস্টে লেখেন, ‘বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে আমি মর্মাহত এবং স্তম্ভিত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রমাণ করছে মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সরকারের উচিত এর দায় নেওয়া।’