পুজোয় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হলো নাবালিকার। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায় এক নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হলো। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেহ। প্রতিবাদে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা রেল কলোনি এলাকায় নিজের মামা বাড়িতে বেড়াতে আসে ১২ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। রবিবার সকালে বাড়ির সামনে সমবয়সি কিছু বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল সে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তাকে আর দেখা যায়নি। অন্যান্য বাচ্চাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নাবালিকার পরিবারের লোকজন। সেখানেই জানা যায়, এক প্রতিবেশী ওই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে।এরপরেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছন নাবালিকার পরিবার এবং অন্যান্য গ্রামবাসীরা। ঘরের মধ্যে বাচ্চাটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে অভিযুক্তের বাড়ির খাটের তলা থেকে ওই বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তা খুলতেই ওই কিশোরীর নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তাকে বেনিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীর নাম দীনবন্ধু হালদার। তাকে বেধড়ক মারধর করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি আনন্দ রায় বলেন, ‘ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ খুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।