কলকাতা

ছট পুজোয় ১১ দফা গাইডলাইন নবান্নের

হস্পতিবার ছট পুজো। তার আগেই সারা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নদী ঘাট ও জলশায়ে ছট পুজো স্থা্নগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাগুলিকে জঞ্জাল সফাই বিভাগের কর্মীদের নিয়ে দল তৈরি করে সাফাই অভিযানে নামার নির্দেশ দিল পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। প্রতিটি নদীর ঘাট ও জলাশয়ের সামনে বড় বড় মাপের ডাস্টবিন বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভক্তরা পুজোর উপাচার জলে ফেলার পরই তা তুলে যাতে ওখানে রাখা হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা৷ পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছট পুজোর পূর্ণার্থীদের সচেতন করতে হবে, যাতে তাঁরা পুজোর পর নদী বা জলাশয়ের জল নোংরা না করে এই বিনে ফেলে দেয়। তাছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি নদী-ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলাদের পোশাক বদলের জন্য নিরাপদ ঘেরা ঘরের ব্যবস্থাও করতে হবে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঘাট চত্বরে আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷  জানা গিয়েছে পুরসভাগুলোর পক্ষ থেকেও ছট পুজো উপলক্ষে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। তাঁদের পুরসভা থেকে সচিত্র পরিচয় পত্র  গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছট পুজোকে সামনে রেখে রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে পুরসভাগুলিকে ১১ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায়  জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে নদীর ঘাট-সহ যেসব জলাশয়ে ছট পুজো হয় সেখানে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে জঞ্জাল সাফাই করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলতে হবে। ছট পুজোর দিনও  ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘাট চত্বরকে পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য উপযুক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। বুধবারের মধ্যেই পুরসভার কমিশনার বা এক্সিকিউটিভ অফিসারদের সরজমিতে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠাতে হবে, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর প্রতিটি পুরসভাকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কন্ট্রোলরুম চালু রাখতে বলেছে। যে সব ঘাটে ছট পুজো হবে সেখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শৌচালয়ের ব্যবস্থা যেন থাকে, সেই দিকে নজর দেওয়ার কথাও রয়েছে নির্দেশিকাতে।কেবল শৌচালয় থাকাই নয়, নিয়ম করে যেন তা পরিস্কার করা হয়, তার দিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এইজন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীদের তৎপর থাকার নির্দেশও রয়েছে। শনিবারই ছট পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন জেলাশাসকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। বৈঠকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আগাম সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাদে থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয় পুলিশ প্রশাসনকে।