জেলা

PM Modi at Krishnanagar : ‘এনডিএ সরকার চারশো পার’, কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

এবার বাংলায় এসেও চারশো আসনে এনডিএ-র জয়ের হুঙ্কার দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মোদি স্লোগান তুললেন, এবার, এনডিএ সরকার চারশো পার৷গতকাল আরামবাগের সভার মতো এ দিনও কৃষ্ণনগরের সভা থেকে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে এ দিন একবারের জন্য তাঁর মুখে শোনা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে হতাশ করেছে৷ বার বার বাংলার মানুষ তৃণমূলকে বিপুল জনাদেশ দিযেছে৷ অথচ অত্যাচার এবং বিশ্বাসঘাতকতার অন্য নাম হয়ে গিয়েছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের জন্য দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রই অগ্রাধিকার, বাংলার উন্নয়ন নয়৷ তৃণমূল মানে অত্যাচার, দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্র৷ তৃণমূল বাংলার মানুষকে গরিব করে রাখতে চায়৷ যাতে তাদের রাজনীতি এবং খেলা চলতে থাকে৷’ কল্যাণী এইমস-এর উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি বাংলাকে প্রথম এইমস করার গ্যারান্টি দিয়েছিল৷ আর মোদির গ্যারান্টি মানে গ্যারান্ট পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি৷’ কটাক্ষের সুরে মোদি আরও বলেন, ‘এখানকার রাজ্য সরকার কী কাজ করছে, এটাই তার একটা উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কল্যাণী এইমস হওয়ায় অস্বস্তিতে৷ এখন বলছে, অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি৷ গোটা পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের তোলাবাজ, জমি মাফিয়াদের লুঠ, গুন্ডামির অনুমতি রয়েছে৷ কিন্তু এত বড় হাসপাতালের জন্য তৃণমূল সরকার এখন পরিবেশের সংক্রান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তুলছে৷ তৃণমূল মানে প্রথমে কমিশন তার পর পারমিশন৷’ মোদি এ দিন আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত,বেটি বচাও বেটি পড়াও-এর মতো প্রকল্প চালু করতে দেয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি সরকার বাংলার বেকার যুবসমাজের জন্য প্রকল্প চালু করতে চায়৷ কিন্তু এখানকার সরকার সেসব চালু করতে দেয়নি৷’মোদি এ দিন অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের সব প্রকল্পকে দুর্নীতিতে পরিণত করেছে তৃণমূল সরকার৷ ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড ধরা পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এর পরই তিনি বলেন, ‘এবার বিয়াল্লিশটি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে৷ এবার এনডিএ সরকার চারশো পার৷ বাংলার ঘরে ঘরে গিয়ে বলবেন, মোদিজি এসেছিলেন, আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন৷’ কৃষ্ণনগরের সভা থেকেও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষের নামে ভোট চেয়েছিল তৃণমূল৷ কিন্তু এখন মা, মাটি, মানুষ তৃণমূলের শাসনে কাঁদছে৷ সন্দেশখালির বোনেরা বিচারের আশায় চোখের জল ফেলেছে৷ কিন্তু তৃণমূল সরকার তাঁদের কথা শোনেনি৷ এখানেএ পুলিশ নয়, অপরাধীরা ঠিক করে কখন তাদের গ্রেফতার করা হবে৷ রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অপরাধীরা গ্রেফতার হোক, কিন্তু বাংলার নারী শক্তি মা দুর্গা হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল৷ তাঁদের পাশে ছিলেন বিজেপির নেতা, কর্মীরা৷ তাই চাপে পড়ে তৃণমূল সরকার সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে৷’