আরিয়ান খান মামলার তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তদন্তকারী এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকা ঘুষ ও তোলা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ যদিও সমীরের দাবি, তাঁকে তদন্ত থেকে সরানো হয়নি ৷ আরিয়ান ও বাকি যে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত সমীর করছিলেন, এ বার সেই তদন্তের দায়িত্ব সামলাবে শীর্ষ পুলিশকর্তা সঞ্জয় সিং-এর নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ যদিও এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীরের দাবি, তাঁকে সরানো হয়নি ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেছেন, “আমাকে তদন্ত থেকে সরানো হয়নি ৷ আদালতে আমিই রিট পিটিশন দিয়েছিলাম যাতে এই মামলাগুলির তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাই করে ৷ তাই আরিয়ান খান ও সমীর খান মামলার তদন্ত দিল্লি এনসিবি-র বিশেষ তদন্তকারী দলই করবে ৷ এটা দিল্লি ও মুম্বই এনসিবি দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন ৷” তদন্তের শীর্ষে থাকা সঞ্জয় কুমার সিং একজন ডিডি ব়্যাঙ্কের অফিসার ৷ তাঁকে দেওয়া হয়েছে মোট পাঁচটি মামলার দায়িত্ব ৷ এর মধ্যে নবাব মালিকের ছেলে সমীর খানের মামলাও রয়েছে ৷ শনিবারই মুম্বই পৌঁছবে দিল্লি এনসিবি-র দল ৷ এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে, আরিয়ান-সহ পাঁচটি মামলার যোগ সারা দেশজুড়ে রয়েছে ৷ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সঞ্জয় কুমার সিং-এর নেতৃত্বে মামলাগুলির তদন্ত করবে সেন্ট্রাল জোন টিম৷ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক ও আরিয়ান মামলায় এনসিবি-র সাক্ষী প্রভাকর সৈল সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনার পরই এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়৷ এনসিবি কর্তা ৮ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন প্রভাকর ৷ নবাব মালিক সমীরের বিরুদ্ধে মিথ্যে জাতি শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ নবাব মালিকের আরও অভিযোগ ছিল, ২ লক্ষ টাকার জুতো, ২০ লক্ষ টাকার ঘড়ি, ৫০ হাজার টাকার বেশি দামি শার্ট পরেন আরিয়ান খানের মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর শীর্ষ আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ যদিও এনসিপি নেতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনসিবি কর্তা ৷ তাঁর দাবি, এসব গুজব ৷ তাঁর আইনজীবী বোন ও জেলবন্দি এক মাদক পাচারকারীর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করার যে অভিযোগ নবাব মালিক তুলেছেন, তারও কড়া ভাষায় জবাব দেন সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ সমীরের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপ করা, তোলাবাজি এবং ভুয়ো উপজাতি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আসন সংরক্ষণ করার অভিযোগ এনেছেন নবাব মালিক।