ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। বুধবার ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি গতিবেগে আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশায়। বিপর্যয় মোকাবিলায় বাড়তি তৎপর জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। মোট ৩৭টি টিম নিয়ে একেবারে প্রস্তুত তারা। জানিয়েছেন জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান। সুপার সাইক্লোন আমফানের মোকাবিলায় কী করণীয়, সেই বিষয়ে আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে আমফান দাপটে দেখাবে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়। সেখানে কাঁচা বাড়ির বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হবে। পুরনো পাকা বাড়িও আমফানের ধ্বংসাত্বক গতি থেকে রেহাই পাবে না। এছাড়া প্রচুর বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়বে, বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেবে। রেল ও সড়কপথে যানবাহনের গতিতে প্রভাব ফেলতে সুপার সাইক্লোন। ফসল, ফলের বাগান নষ্ট হবে। অসংখ্য আম, খেজুর ও নারকেল গাছ ভেঙে পড়বে। আমফানের গতিবেগে বড় বজরা, জাহাজেরও ক্ষতি হবে। একইরকম ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে উড়িষ্যার জগৎসিংহপুর, জাজপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জে। আজ সকালে এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় মোতায়েন আছে বাহিনীর ৩৭টি সদস্যদল। তার ২০টি দলই পুরোদস্তুর কাজের জন্য প্রস্তুত। ২টি রাজ্যে বাড়তি ১৭টি দলও আছে। একেকটি দলে আছেন জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ৪৫ জন সদস্য।’ উড়িষ্যার ৭টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলায় মোতায়েন আছে বাহিনী। ডিরেক্টর জেনারেল প্রধানের বক্তব্য, ‘জোড়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে ‘আমফান’। কারণ তা মহামারী করোনা চলাকালীন আসছে। সেক্ষেত্রে বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি মহামারী নিয়ে সতর্ক করার ভারও নিয়েছে বাহিনী। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি।’ ইতিমধ্যে উড়িষ্যার উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হচ্ছে।