বক্তব্য রাখতে শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযোগ তুলেই নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এলেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেরিয়ে আসা নিয়ে চাপানউতর চলছেই। দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মন্তব্যের পরে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ওই ৩-৪ মিনিট এর মধ্যা যা বলার বলেছি। বাংলার বঞ্চনার কথা বলেছি। সবার কথা বলেছি। আপনারা তো শুধু ছবি লাগান আর নির্দেশ দেন। কাজ তো রাজ্যকে করতে হয়। রাজ্যগুলোকে পঙ্গু করে দেন”। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাস্তা, আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গও তুলেছেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গ নিয়েও এবার সরব মমতা। তিনি বলেন, “ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের কথা বলেছি। উত্তরবঙ্গ নিয়ে এটা হওয়া উচিত। তিস্তার জল চলে গেলে পানীয় জল পাবে না উত্তরবঙ্গ। তিস্তার জল বাংলাদেশে চলে গেলে গ্রীষ্মকালে, শীতকালে উত্তরবঙ্গের মানুষ কী পাবে?” রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ফরাক্কা চুক্তির পুনর্নবিকরণ করা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলতে দেওয়ার সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেখছিলাম বারবার বেল বাজাচ্ছিলেন। কেউ ১৫- ১৬ মিনিট বলেছে। আমার যখন পাঁচ মিনিট হল স্টপ স্টপ হয়ে গেল”। সেই সঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, “রাজনাথ সিং বলেছিলেন পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় পাব৷ কিন্তু আমাকে তো সাত মিনিটও সময় দেওয়া হল না৷ আমি বেরিয়ে চলে এসেছি৷ বার বার বেল বাজালে কী বোঝায় অপমান করা ছাড়া!” কলকাতায় ফিরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে৷ নিজেদের মুখ রক্ষা করতে এসব বলছে৷ বিরোধীদের অপমান করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে এসব করেছে”৷ নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করা হয়নি৷ শুধু ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা সময় শেষ হয়ে গিয়েছে৷