রবিবার সকালে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। বিকেলে জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ শপথ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় এসেছেন বিজেপির কয়েকজন নেতা। শুধু ইন্ডিয়া জোট ত্যাগ করাই নয়, পাল্টি খেয়ে ফের এনডিএ শিবিরের ফিরলেন নীতীশবাবু। এনিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশান্ত কিশোর বলেন, প্রথম থেকেই আমি বলে আসছি যে কোনও সময় পাল্টি খেতে পারেন নীতীশ কুমার। এটাই তাঁর রাজনৈতিক কৌশল। কিন্তু আজ যা হল তাদের বিহারের অধিকাংশ দলের নেতারাই এখন ‘পল্টুরাম’। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অল্প কিছু দিনের জন্য জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। দলের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদেও তাঁকে আমা হয়। কিন্তু দল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করায় তিনি দলের সমালোচনা করে। তাতেই তাঁকে বরখাস্ত করে দল। এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেন, কয়েক মাস আগেই বিজেপি বলছিল নীতীশ কুমারের জন্য এনডিএর দরজা বন্ধ। রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য গতকালও নীতীশ কুমারকে গালমন্দ করছিলেন বিজেপি নেতারা। এখন সেসব অতীত। বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে এদিন একটি ভবিষ্যত বাণীও করেন প্রশান্ত কিশোর। প্রতিষ্ঠিত ভোট কুশলী বলেন, আজ একটা ভবিষ্যত বাণী করছি। ভুল হলে পরে আমাকে ধরবেন। যে জোট এখন তৈরি হল তা আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত টিকবে না। লোকসভা ভোটের কয়েক মাসের মধ্যে এই জোট ভেঙেও যেতে পারে। আসলে বিজেপি এখনব যা করছে লালু প্রসাদ যাদবের আমলে সেই একই কাজ করত কংগ্রেস।