জেলা

লোকসভায় বাংলায় বিজেপি ৩৫ আসনে জয়ী হলেই পতন হবে মমতার সরকারের, শাহি ভাষণে নেই পঞ্চায়েত নিয়ে কোনও বার্তা, হতাশ কর্মীরা

শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ির জনসভা থেকে লোকসভা ভোটের উল্লেখ করলেও, রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি শব্দও বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এপ্রিলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন ৷ ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতে ভালো ফলের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপি শিবিরে ৷ গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের আশা ছিল দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে শুক্রবার সিউড়ির জনসভা থেকে এই ভোট নিয়ে কোনও বার্তা দিতে পারেন অমিত শাহ ৷ কিন্তু তাঁদের সেই আসায় জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ চৈত্রের শেষ দিনে তপ্ত দুপুরের এই সভা থেকে এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত অমিত শাহ ৷ তবে এদিন নাম না করে জেলবন্দি জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন শাহ । কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহ বাড়াতে একটি কথাও বলেননি তিনি ৷ বরং লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি-র জন্য ৩৫ আসনের লক্ষ্য মাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তিনি ৷ জানিয়েছেন ২০২৪ সালে এরাজ্যে বিজেপি ৩৫টি আসন পেলে ২০২৫ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না তার আগেই পতন হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ৷বঙ্গ সফরে এসে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এদিন বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ ৷ এদিনের সভায় বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে বহু বিজেপি কর্মীসমর্থক এসেছিলেন ৷ কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের সভা থেকে শাহর মুখে কোনও কথা শুনতে না পেয়ে হতাশ তাঁরা ৷ উল্লেখ্য ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন এই জেলায় একটি বাদে ১৬৬টি পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল ৷ ” ২০২৩ এমনিতেই পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের শক্তিশালী সংগঠনের মুখে জেলায় জেলায় কতটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা৷ এ দিন অমিত শাহ যে উদাসীনতা দেখালেন, তার পরে দলের কর্মীরাও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উৎসাহ হারান কি না, সেই আশঙ্কাই উঁকি মারছে বঙ্গ বিজেপি-র অন্দরে৷